ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আশাবাদী হয়ে উঠছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৯ এপ্রিল ২০১৮

আশাবাদী হয়ে উঠছে পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঠের ক্রিকেটে সরফরাজ আহমেদদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই। ফেবারিট না হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরশত্রু ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান। ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে উঠে এসেছে টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। এবার ঘরের মাঠে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ ফিরিয়ে আনতেও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে উপমহাদেশের পরাক্রমশালী দেশটি। ২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর বড় কোন দল পাকিস্তান সফর করেনি। মাঝে জিম্বাবুইয়ে গিয়েছিল, এরপর একটি টি২০ খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সম্প্রতি করাচীতে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিএসএলের কয়েকটি খেলা। এসবই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ২০২০ সালের মধ্যেই তারা নিজেদের মাটিতে টেস্ট খেলুড়ে বড় কোন দেশের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০) আয়োজন করতে চায়। ‘এগুলো ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে। আগামী বছর পিএসএলের আরও বেশি ম্যাচ আমরা পাকিস্তানে আয়োজন করব এবং সে সময় শীর্ষ ক্রিকেটীয় দেশগুলোর প্রায় সব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় খেলতে আসবে। এরপর ২০২০ সালে তাদের দেশের বোর্ডগুলোকে পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জাতীয় দল পাঠাতে রাজি করাতে পারব বলে আশাবাদী আমরা।’ রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠী। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফরে রাজি হয়েছিল। তবে করাচীতে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে জঙ্গী হামলার পর সে আশা ভেস্তে যায়। এরপর ২০১৪ সালে সফরের জন্য আয়ারল্যান্ডকে সম্মত করেছিল পিসিবি। তবে করাচী বিমানবন্দরে জঙ্গী হামলার পর আইরিশরা সফর বাতিল করে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে রাজি হওয়ার পরও নিরাপত্তার কারণে ২০১২ সালে দুইবার পাকিস্তান সফরে অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ। তবে ২০০৯ সালের পর প্রথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে দুর্বল জিম্বাবুইয়ে সফরে আসলে ২০১৫ সালে সেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত বাজে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেন। সিরিজ দুটি আয়োজনে নিরাপত্তা বাহিনীর ত্রিশ হাজার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিল। দর্শকদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মাঠে আসতে হয়েছিল। বিভিন্ন চেক পয়েন্ট বসানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষকে পদে পদে বাধা সহ্য করতে হয়েছিল। ‘লাহোর ও করাচীর ম্যাচগুলোর জন্য কড়া নিরাপত্তার কারণে জনগণকে বেশ ভুগতে হয়েছে আমরা সেটা অনুধাবন করছি। তবে আবার এটা পাকিস্তানের জন্য অনেক বড় কিছু।’ বলেন শেঠী। পিসিবি এখন আরও বড় দলকে সফরে আনতে চায়। আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলের পাকিস্তান সফরে আশাবাদী পাকিস্তান। ইংল্যান্ড দলকে সফরের আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
×