ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

এনআইডির নাম ও জন্ম তারিখ নিশ্চিত হয়েই পরিবর্তন করা সমীচীন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এনআইডির নাম ও জন্ম তারিখ নিশ্চিত হয়েই পরিবর্তন করা সমীচীন

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এর তথ্য খুবই স্পর্শকাতর। জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তন করে কিছু অসাধু ব্যক্তি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। যেমন মামলা মোকদ্দমা হতে অব্যাহতি চাওয়া, জমি-জমার মালিকানা হস্তান্তর, চাকরি প্রাপ্তি ইত্যাদি। উপযুক্ত প্রমাণাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সমীচীন হবে। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। মন্ত্রী জানান, এনআইডি সার্ভিস ইসলামী ফাউন্ডেশন ভবনে থাকাকালে জনবল স্বল্পতা, স্থান সঙ্কটসহ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, নির্বাচন কমিশন যা শনাক্ত করে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ, কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, আবেদন জমা গ্রহণ ও কার্ড বিতরণ কাউন্টার স্থাপন, প্রবাসী ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন, আবেদনকারীদের বসার সুব্যবস্থাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, কাউকে যাতে দূর-দূরান্ত হতে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে না হয় সে জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল প্রকার সেবা ইতোমধ্যে উপজেলা/থানা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস হতে সকল প্রকার আবেদন গ্রহণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। যার জন্য কোন আবেদনকারীকে সেবা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস ব্যতীত অন্য কোথাও এমনকি ঢাকার এনআইডি উইং-এর আসার প্রয়োজন হচ্ছে না। আইনমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও জানান, শুধু হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জরুরী সেবা ঢাকার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনের দ্বিতীয় তলা হতে সরাসরি প্রদান করা হয়। হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র জরুরী পেতে পূর্বে নির্ধারিত কাউন্টারে সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন জমা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে আবেদনকারীগণ হারানো/সংশোধনের আবেদন জমা দেয়ার পর ধাপে ধাপে তাদের প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে আবেদনের অগ্রগতি জানানো হয়, সেজন্য কোন কর্মকর্তার কাছে আবেদনকারীর সাহায্য সহযোগিতা চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আগামীতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত কোন তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নেই। বেগম শিরিন নাঈমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৬ মেয়াদে সারাদেশে ৯টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, ৫৪টি জেলা নির্বাচন অফিস, ৩৯৪টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ৯টি থানা নির্বাচন অফিস নির্মাণ ও ক্রয় করা হয়। ঢাকা মহানগরীতে জমির মূল্য অত্যাধিক হওয়ায় ৭টি থানা নির্বাচন অফিসের স্পেস ক্রয় করা হয়। এগুলো হলো- ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিস।
×