ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

নাসির ও শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাসির ও শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত সকল নথিপত্র ফেরত চেয়েছেন চীফ প্রসিকিউটর। এদিকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের দুই সহোদর এটিএম নাসির আহম্মেদ ও শামসুদ্দিন আহম্মদসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২৫তম সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান আংশিক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। অবশিষ্ট জবানবন্দীর জন্য ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে মামলার সংক্রান্ত সকল নথিপত্র ফেরত চেয়েছেন চীফ প্রসিকিউটর। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু তাকে এই চিঠি দেন বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে বরখাস্ত করে আইন মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ‘পেশাগত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। মুহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের দুই সহদর এটিএম নাসির আহম্মেদ ও শামসুদ্দিন আহম্মদসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২৫তম সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান আংশিক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। অবশিষ্ট জবানবন্দীর জন্য ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। কিশোরগঞ্জের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণে সাহায্য করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। এ সময় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম মোঃ আতাউর রহমান। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম গঙ্গানগর, থানা- ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ। ২০১০ সালের ২৮ নবেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশ পরিদর্শক থাকা অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। ২০১৩ সালের ৬ জুন তদন্ত সংস্থার কমপ্লেন্ট রেজিস্ট্রার নাম্বর -২৫ মূলে আসামি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে ক্যাপ্টেন নাসির, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মোঃ হাফিজ উদ্দিন এবং মোঃ আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজ শুরু করি। তিনি আরও বলেন, আমি মামলার তদন্তকালে সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। সাক্ষী মেহেদী আলমসহ ৫২ জন সাক্ষীর জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করি এবং বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি। তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দীতে আরও বলেন, আমি আসামিদের নাম ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি সংগ্রহ করি। ২০১৫ সালে ৪ মার্চ আসামি শামসুদ্দিন আহমেদকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। আমার তদন্তে ও প্রাপ্তসাপেক্ষ প্রমাণে ১৯৭১ সালের আগস্ট মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন কিশোরগঞ্জ মহকুমার করিমগঞ্জ থানা এলাকায় আসামিগণ কর্তৃক হত্যা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ইত্যাদি ৭টি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সংঘটিত ঘটনা লিপিবদ্ধ করি। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করি।
×