ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জনসম্মুখে প্রেমিককে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেলেন প্রেমিকা

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ২২ মার্চ ২০২৩

জনসম্মুখে প্রেমিককে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেলেন প্রেমিকা

প্রেমিক ও প্রেমিকা

প্রেমিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাওনকে জনসম্মুখে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেলেন প্রেমিকা। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
 
নুরুল ইসলাম শাওন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। শাওন ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে তিন বছর আগে তার পরিচয় হয়। সে সময় শাওন ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধর্ষণ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। একপর্যায়ে আমার মাসহ আমাকে তার বাড়িতে আনেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আমাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। শাওন এ সুযোগে আমার সঙ্গে অবাধে মেলামেশা শুরু করে। আবারও তাকে বিয়ে জন্য চাপ দিলে সে বিয়েতে অস্বীকার করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।’ 

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘শাওনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে আমার গচ্ছিত টাকা শাওনকে দিয়েছি। সে বলেছিল এ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই বিয়ে করবে। টাকা নেওয়ার পর থেকে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আজ তাকে পেয়ে টেনে থানায় নিয়ে এসেছি।’

অভিযুক্তের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রুপা আমাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল।’

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘রুপা থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। পারিবারিকভাবে এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে থানা থেকে চলে গেছে। অভিযোগ না থাকায় শাওনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ।’

এমএইচ

×