ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
Sopno
Sopno
adbilive
adbilive
SomajVabna

বিদেশ

অর্থনীতি

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে  হচ্ছে অর্থনৈতিক  অংশীদারিত্ব চুক্তি

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হচ্ছে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার সঙ্গে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যার সিংহভাগই আমদানির বিপরীতে ব্যয় হচ্ছে। তবে দেশটিতে ধীরে ধীরে বাড়ছে পোশাক রপ্তানি। চিকিৎসা, তথ্য প্রযুক্তি, রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চল এবং এদেশের বড় বড় অবকাঠামোতে কোরিয়ার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। দেশের বেসরকারি খাতে বিপুল অঙ্কের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ার। এ বাস্তবতায় চলতি বছরের মধ্যে কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট-ইপিএ) করতে চায় সরকার।

সম্মাননাপ্রাপ্ত নার্গিস রিদা ভূমিকা রাখতে চান ওষুধশিল্পে

সম্মাননাপ্রাপ্ত নার্গিস রিদা ভূমিকা রাখতে চান ওষুধশিল্পে

ওষুধ বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন সাধনের স্বপ্ন নিয়ে এবং ওষুধ শিল্পে দেশকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রয়াসে নিজেকে দক্ষ ফার্মাসিস্ট ও ওষুধ বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে চলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাসমিয়া নারগিস রিদা।  নড়াইলের কন্যা রাসমিয়া নার্গিস রিদা, পিতা মো. আবদুর রউফ ও মাতা খালেদা খানমের একমাত্র সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি বিভাগ থেকে বি.ফার্মে সিজিপিএ ৩.৯৯ (প্রথম স্থান) এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে এম. ফার্মে সিজিপিএ ৪.০০ (প্রথম স্থান) অর্জন করে শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে বর্তমানে ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। রাসমিয়া ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি অত্যধিক মনোযোগী ও আগ্রহী ছিলেন তিনি।  তবে তার বিচরণ শুধু পড়াশোনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না সহশিক্ষা কার্যক্রমে ও সক্রিয় অংশ নিয়েছেন প্রি-স্কুল পর্যায়ে থেকেই। বিজ্ঞান মেলা, কুইজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, দেয়াল পত্রিকা, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ এই সব কিছুতে অংশ নিতেন নিয়মিত। কিন্তু এই সব কিছু কখনোই তার পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। তাইতো স্কুলে কখনোই তাকে প্রথম স্থান থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে পেয়েছেন বিজ্ঞান মেলা, ভাষা প্রতিযোগিতা, হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার। সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়েও। ফার্মেসিবিষয়ক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক সেমিনার, পোস্টার প্রেজেন্টেশনে অংশ নিয়েছেন বহুবার। এছাড়া নেতৃত্ব দানে তার বিশেষ পারদর্শিতা লক্ষণীয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিতে নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেণি নেতা। এছাড়া দশম শ্রেণিতে ‘হেড গার্ল’ হিসেবে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল, ধানম-ি প্রভাতী শাখার নেতৃত্ব দান করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মা ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের, পিকনিকের, শিক্ষা সফরের, সমাজ কল্যাণমূলক কাজের আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ভাষ্যমতে নেতৃত্বদানকে তিনি গুরুদায়িত্ব মনে করলেও এই দায়িত্ব পালন করা, সবাইকে নিয়ে কাজ করা খুবই উপভোগ করেন। তাইতো বন্ধুরা মজার ছলে বললেও প্রকৃত অর্থে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দান করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। লেখাপড়া আর সহশিক্ষা কার্যক্রমই কিন্তু শেষ নয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা এবং গানে ও তার অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। অবসর সময় গল্পের বই পড়তে, নিজের লাগানো গাছের পরিচর্যা করতে এবং ভ্রমণ করতে বা ভ্রমণবিষয়ক ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিক বিষয় সম্পর্কে জানতে ভালোবাসেন তিনি। তা ছাড়াও বিভিন্ন নতুন রন্ধন রেসিপি এবং রং তুলিতেও তার বিশেষ আগ্রহ আছে বলে জানান রাসমিয়া। তার আরেকটি বিশেষ অর্জন উল্লেখ না করলেই নয়। প্রথম শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১২ বছর একদিনও অনুপস্থিত হননি তিনি। আর তাইতো ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ তাকে সম্মানিত করেছিল বিশেষ পুরস্কারে। তাছাড়াও পেয়েছেন ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল, ধানম-ি প্রভাতি শাখার ‘বেস্ট গার্ল’ অ্যাওয়ার্ড। এরপর থেকে তার অর্জনের ঝুলিতে যোগ হয়েছে একের পর এক সম্মাননা। এসএসসি ও এইচএসসিতে পেয়েছেন বোর্ড ট্যালেন্টপুল বৃত্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে পেয়েছেন স্বর্ণপদক। এছাড়াও পেয়েছেন আরও দুটি স্বর্ণপদক, ডিন্স অ্যাওয়ার্ড, এনএসটি ফেলোশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্কলারশিপ, বই পুরস্কার এবং অন্যান্য অসংখ্য বৃত্তি। আর তাইতো তার সকল একাডেমিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের অর্জনের ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে গত বছর গ্রহণ করেছেন স্নাতক পাশ শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ (জীববিজ্ঞান)। বর্তমানে তিনি গবেষণা করছেন ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদন এবং জনসাস্থ্যের কিছু বিষয়ে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার কিছু সায়েন্টিফিক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। তবে পেশা হিসেবে শিক্ষাকতাকেই মনেপ্রাণে ধারণ করেছেন তিনি। নিজের অর্জিত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারা জীবন ভাগ করে নিতে চান রাসমিয়া। তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ তেমনি সম্মানজনক। শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজেও নিজেকে পুরোদমে নিয়োজিত রাখতে চান তিনি, হতে চান দক্ষ ওষুধ গবেষক। ভবিষ্যতে উন্নত দেশ থেকে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করে দেশেই ফিরতে চান রাসমিয়া। ক্যান্সার বিষয়ে গবেষণা করে অবদান রাখতে চান দেশের প্রতি, এই মহৎ পেশার প্রতি, সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের প্রতি; দেশের মানুষকে জানাতে চান ফার্মেসি পেশা সম্পর্কে, ফার্মাসিস্ট সম্পর্কে এবং তাঁদের অবদান সম্পর্কে।