ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

হুজ হু বাংলাদেশ বছরের শুরুতে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২০ আগস্ট ২০১৮

হুজ হু বাংলাদেশ বছরের শুরুতে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত ॥ মুহিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘হুজ হু বাংলাদেশ’ নিয়মিতভাবে বছরের শুরুতে প্রকাশ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের প্রকাশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে প্রকাশনাটি নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে করা গেলে অনেকেই উপকৃত হতে পারেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাওরান বাজারের এমটিবি ভবনে ‘হুজ হু বাংলাদেশ’র প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। জাতি সংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এমিরেটস প্রফেসর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন প্রকাশনাটির প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহিম, এমিরেটস প্রফেসর আনিসুজ্জামান, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জেপি, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এ সময় দেশী-বিদেশী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, কৃষি, সাংবাদিকতা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে ১৪৪ ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রকাশনায়, যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকাশনায় সংক্ষিপ্ত জীবন প্রকাশের পাশাপাশি তাদের ঠিকানা প্রকাশ করতে হবে। যাতে সহজে তাদের সঙ্গে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন। প্রকাশিত বইটিতে কোন ঠিকানা নেই বলে তিনি জানান। প্রকাশনায় প্রথমবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা হুজ হু বাংলাদেশ পদক প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত সন্নিবেশন করা হয়েছে। দুইবছর আগে ’১৬ সালে তারা এই পদক পান। এক্ষেত্রে শিল্প ও সংস্কৃতিতে ছায়ানট সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন, শিক্ষাক্ষেত্রে এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাংবাদিকতায় দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, শিল্প ও সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কৃষিতে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে রহিম আফরোজ গ্রুপের পরিচালক নিয়াজ রহিম, উদ্যোক্তা হিসেবে এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী, প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এই সম্মাননা পান। এছাড়া লাইফ টাইম এ্যাচিভমেন্ট এওয়ার্ড পান আব্দুল গাফফার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, প্রকাশনাটি নিয়মিত প্রকাশ করার পাশাপাশি সবক্ষেত্র থেকে যোগ্যদের এতে স্থান দিতে হবে। স্থপতি, প্রকৌশলী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সব যোগ্যকে নিয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ছবি ছাপানোর বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বরং যোগ্যদের বেশি তথ্য দেয়া প্রয়োজন। এমিরেটস প্রফেসর ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে প্রকাশনাটি পড়ে উপকৃত হতে পারে আগামীতে সেই দিকটির দিকে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা হবে। তিনি বলেন, বিদেশী অনুষ্ঠানগুলোতে দেখানোর মতো সরকারী খাতে তেমন কোন প্রকাশনা নেই। যদিও বেসরকারীখাতে অনেক ভাল ভাল বই দেশে রয়েছে। হুজ হু বাংলাদেশ একটি আন্তুর্জাতিক মানের প্রকাশনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এটা ঠিক বইটিতে কারও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি। আমরা যখন তথ্য নিয়েছি কিংবা চেয়েছি তখনই তারা ঠিকানা প্রকাশ করতে বারণ করেছেন। আগামীতে যাতে সবার ঠিকানা ব্যবহার করা যায় সেদিকটিতে নজর দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিভিন্নখাত থেকে যোগ্যদের নির্বাচনের বিষয়টি অত্যন্ত স্বচ্ছ ও গোপনীয়। এখানে তদ্বির করে কারও প্রবেশ করার সুযোগ রাখা হয়নি। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কোন হস্তক্ষেপ যাতে প্রকাশনাটির ওপর না আসে সেজন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও প্রকাশনায় আনা হচ্ছে না। নাজিনুর রহিম বলেন, হুজ হু ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের অনুসরণীয় গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ এবং পদক প্রদান করে আসছে। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে। এ বছর থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর ডিসেম্বরে এ পদক প্রদান করা হবে।
×