
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের খুনের বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর রাস্তায় নামবে না।
সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ কাউসার মাহমুদের জানাজায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। দুপুর ১টার দিকে শহীদ কাউসারের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। এরপর তাকে জাতীয় পতাকায় মুড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তার জানাজায় তার স্বজন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীরা অংশ নেন। তার মরদেহ এখন চট্টগ্রামে নেয়া হচ্ছে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে বাদ এশার সমাহিত করা হবে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান কাউসার মাহমুদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত হন তিনি।
কাউসার মাহমুদের বাবা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে বলা হলো আমাকে তাঁর (কাউসারের মাহমুদ) অবস্থা ভালো না, লাইফ সার্পোটে নিতে হবে। লাইফ সার্পোট আমি বুঝি না, আপনারা যা করার করেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘একটি রক্তাক্ত অভ্যুত্থান দেখার পরও যদি আমরা এটি থেকে শিক্ষা না নেই, এই যে আমাদের ভাইয়েরা আমাদের জন্য জীবন দিল, রক্ত দিল এই বিনিময় থেকে যদি শিক্ষা না নেই তাহলে এর চেয়ে লজ্জার আমাদের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য আর কিছু হতে পারে না।’
শহিদ