ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয় আজিজুল হাকিম তামিমের দলের

১০ বছরে যুবাদের হারাতে পারেনি প্রোটিয়ারা

ফয়সাল আহমেদ

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২০ জুলাই ২০২৫

১০ বছরে যুবাদের হারাতে পারেনি প্রোটিয়ারা

অলরাউন্ড  নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম

দারুণ ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে তারা। যেন পাত্তাই পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩০ রানে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৪ রানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গত ১০ বছরে চারটি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলে সবকটিতেই জিতল বাংলার যুবারা।
শনিবার বেনোনির উইলমোর পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৫ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। জবাবে ৩০.২ ওভারেই ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। দুই ম্যাচের পার্থক্য শুধু ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একশ’ ছাড়ানো রানে জয়। এছাড়া ওই ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন সহ-অধিনায়ক জাওয়াদ আবরার। এবার ৬৭ রান করে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। ৯০ বল খরচায় ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি ছক্কা ও ২টি চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই কাপ্তান।
প্রথম ম্যাচের পর ওপেনার জাওয়াদ এদিনও করেন ঝড়ো ফিফটি। ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ বলে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। আরেক ওপেনার রিফাত বেগ করেন ১৮ রান। আগের ম্যাচের মতো এদিনও চার নম্বরে নামা রিজান হোসেন খেলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। ৪ চারে ৭১ বলে ৫২ রান করেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। শেষদিকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ১০, সামিউন বশির ২৫, ফরিদ হাসান অপরাজিত ১৪ ও আল ফাহাদের (১৫*) রানের ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে কর্নে বোথা ও পল জেমস সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া জেজে বাসন ও সোনি একটি করে উইকেট নেন।
২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৫১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই চাপ কেউ সামাল দিতে পারেনি। ওপেনার আদনান লাগাদিয়েন ১০ বল মোকাবিলায় ৫ রান করে আল ফাহাদের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ বুলবুলিয়া। ইনিংসের ৩.১ ওভারে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। যাবার আগে ৭ বলে করেছেন মাত্র ২ রান। তৃতীয় উইকেটে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি আরমান মানাক। এই ব্যাটারও দুই ওপেনারকে অনুসরণ করেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮ বলে ৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
চার নম্বরে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ বুলবুলিয়ার জায়গায় এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া জেমস রোলস। ৮ নম্বরে নেমে ২১ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন কর্নে বোথা।
এছাড়া ভিয়ান প্রিটোরিয়াস ১২, কামোগেলো পিরি ২০, পল জেমস ১, ইনাথি কিটশিনি ১৭ ও বেসন অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে আল ফাহাদ, আজিজুল হাকিম ও স্বাধীন ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ইমন, সানজিদ মজুমদার ও শামিউন বশির একটি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট ও ৬৭ রান নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আজিজুল হাকিম। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে গেল। এখন যুবাদের সামনে বাংলাওয়াশের সুযোগ রয়েছে। এই কাজটি করতে পারলে নিজেদেরকে আরও একধাপ উপরে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ। একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।

প্যানেল হু

×