ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামছে আজ বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামছে আজ বাংলাদেশ

দ্বিতীয় টেস্টের আগে অনুশীলনের ফাঁকে মুমিনুল হকের সঙ্গে সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের শলাপরামর্শ

অ্যান্টিগার অতীত ইতিহাস পাল্টাতে পারেনি সফরকারী বাংলাদেশ দল। যথারীতি ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় পরাজয় দিয়ে শুরু করেছে এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। ফলে ২ টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের তাই সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ জ্যামাইকার কিংস্টনে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে। এখানে স্যাবিনা পার্কে অবশ্য ৬ বছর পর আবার নামছে বাংলাদেশ দল। গত ৩ বছর এই মাঠে কোনো টেস্টও হয়নি।

সবমিলিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিতি নেই বর্তমান দলটির। কারণ অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কেউ নেই বর্তমান দলে। যদিও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম খেলেছেন সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই মাঠে খেলা টেস্টে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার গুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দলের। 
সাম্প্রতিক সময়ে স্যাবিনা পার্কে টেস্ট না হলেও নিয়মিত এখানে অন্য ফরম্যাটের ম্যাচগুলো হয়। টি২০ ম্যাচগুলোয় এখানে বেশ রান দেখা গেছে। এই মাঠের উইকেটে পেসার এবং স্পিনার উভয়ে বেশ সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে টেস্ট ম্যাচের জন্য কেমন উইকেট থাকবে সেটি বোঝার জন্য বাংলাদেশ দলকে মাঠে নামতে হবে। অ্যান্টিগা টেস্টের সব দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা বাগড়া দেয়নি। এবার দ্বিতীয় টেস্টেও প্রতিদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ বছর পর জ্যামাইকাতে আবার পা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আগে এই ভেন্যুতে দুই টেস্ট খেলে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে হেরেছে ইনিংস ও ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এর ১৪ বছর পর আরেক টেস্ট খেলতে নেমে হেরেছে ১৬৬ রানে হেরেছে। দুইবারই চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অ্যান্টিগায় ২০১ রানের বড় পরাজয়ের দুঃখ ভুলে জ্যামাইকাতে ঘুরে দাঁড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ হবে মেহেদি হাসান মিরাজদের জন্য। এখানেও বাংলাদেশের বিপর্যস্ত ব্যাটিং লাইনআপের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
গত টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটাররা দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকতে পারেননি স্বাগতিক পেসারদের দাপটে। এবারও একই পরীক্ষা দিতে হবে। ব্যাটিং লাইনে কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। 
বিশেষ করে ওপেনার জাকির হাসান টানা ব্যর্থতার জন্য ছিটকে যেতে পারেন, আসতে পারেন সাদমান ইসলাম অনিক। এ ছাড়া মিডলঅর্ডারে দেখা যেতে পারে শাহাদাত হোসেন দিপুর জায়গায় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। আর বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বদলে একাদশে সুযোগ করে নিতে যাচ্ছেন ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। পরিস্থিতি বুঝে উঠতে মাত্র ২ দিন সময় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

আশার কথা হচ্ছে গত ১০ বছরে এখানে ৮ টেস্ট খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র দুটি জিততে পেরেছে। স্বাগতিকরা হেরেছে ৫টি এবং একটি ড্র করেছে। তাই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় নামবে এবং সিরিজ হার এড়াতে জয়ের বিকল্পও নেই মিরাজদের। আর ক্যারিবীয়রা ড্র কিংবা জয় পেলেই জিতে যাবে সিরিজ। প্রথম টেস্ট জিতে বেশ আত্মবিশ^াসী তারা আরেকটি সাফল্য পেতে।

×