মাহমুদুল্লাহ ৯৮ ও মিরাজ ৬৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন
সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যারিয়ারের শততম ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেই ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়া ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৯৮ রানে ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন তিনি।
ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে গেছেন। তাই ক্যারিয়ারের ১০০তম ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দেশের ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম ওয়ানডে খেলতে নামেন তিনি। ওয়ানডেতে দেশের ১৭তম অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন মিরাজ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ দুটি পরিবর্তন নিয়ে। শান্তর পরিবর্তে ১৪ মাস পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামেন জাকির হাসান। এছাড়া তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দিয়ে অভিষেক ক্যাপ দেওয়া হয় ফাস্ট বোলার নাহিদ রানাকে। দেশের ১৫০তম ওয়ানডে খেলোয়াড় তিনি।
শুরুটা দেখেশুনে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার ভালোই করেছেন। তারা ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ০ ও ৭ রানে দুইবার সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তানজিদ। এরপরও বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ৩ চারে ১৯ রানেই বিদায় নেন।
যদিও তানজিদের আগেই নবম ওভারে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। তিনি ২৩ বলে ৩ চারে ২৪ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের পেসে বোল্ড হন। একাদশ ওভারে জাকির হাসান (৪) রানআউট হলে বিপাকেই পড়ে বাংলাদেশ। অথচ কিছুক্ষণ পর টানা ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয় ৭ রানেই বিদায় নেন রশিদ খানের লেগস্পিনে।
মাত্র ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ দল। ওই সময় হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে তারা ১৪৫ রানের দারুন জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেন। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই অর্ধশতক হাঁকানো পঞ্চম ক্রিকেটার হন মিরাজ। তিনি ১১৯ বলে ৪ চারে ৬৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে বিদায় নেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেঞ্চুরিরও খুব কাছে চলে যান। তবে সুযোগ থাকলেও সেটি পারেননি। ৯৮ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৯৮ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হয়ে যান তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৯০ এর ঘরে গিয়ে সেঞ্চুরি ছুঁতে না পারার এটি ২৮তম ঘটনা। তবে ৪টি সেঞ্চুরির মালিক মাহমুদুল্লাহর ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে এই প্রথম।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ওমরজাই ৭ ওভারে ৩৭ রানে নেন ৪ উইকেট।
মামুন/শহিদ