লিটন কুমার দাস
জিম্বাবুইয়ে সফরে এবার দুঃসহ সময় কাটছে বাংলাদেশ দলের। প্রথমবার টি২০ সিরিজ খুঁইয়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরেছে ৫ উইকেটে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইনজুরির সমস্যা। ইনজুরিতে পড়ে টি২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচসহ ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। আর শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম ওয়ানডেতেই ইনজুরিতে পড়েন ওপেনিং ব্যাটার লিটন কুমার দাস, মিডলঅর্ডার মুশফিকুর রহিম ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
এই ইনজুরির ধাক্কায় সোহানের পর ছিটকে গেছেন লিটনও। মুশফিককে নিয়ে তেমন সমস্যা না থাকলেও শরিফুল আছেন পর্যবেক্ষণে। এ কারণে শনিবারই জিম্বাবুইয়ে রওনা হয়েছেন ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন ও বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটার মোহাম্মদ নাইম শেখ।
হারারেতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুইয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ হার ঠেকানোর জন্য জিততেই হবে এই ম্যাচে। অথচ ফর্মের তুঙ্গে থাকা লিটনকে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেই পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। প্রথম ওয়ানডেতেও ৮৯ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি। ব্যাটিং শেষ না করেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপর বাংলাদেশ দলের ফিজিও রাতে এক ভিডিও বার্তায় লিটনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তার ডান হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ক্যান করিয়ে সেখানে গ্রেড-২ পর্যায়ের মাসল স্ট্রেইন পেয়েছি। এ ধরনের ইনজুরি থেকে সাধারণত সেরে উঠতে ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। তাকে আগামী কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনার মধ্যে রাখতে হবে।’ আর সে কারণেই লিটনের পরবর্তী ২ ওয়ানডে খেলা হবে না। একই দিনে আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল। এর আগে টি২০ নেতৃত্ব পাওয়া সোহানও ছিটকে যান। তিনি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০ খেলতে পারেননি। তিনি ওয়ানডে সিরিজেও খেলতে পারবেন না সেটিও নিশ্চিত হয়েছে। তবে সোহানের বিকল্প হিসেবে কাউকে ওয়ানডে দলে নেয়া হয়নি।
এবার লিটনও ছিটকে যাওয়াতে বাঁহাতি ওপেনার নাইমকে জিম্বাবুইয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি২০ খেলেছেন নাইম। সেটিই ছিল তার জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ। ৩৪ টি২০ খেললেও তিনি মাত্র ২ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ১! টেস্ট খেলেছেন একটি। স্ট্রাইকরেট কম থাকার কারণে টি২০ দল থেকে ছিটকে যান। ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা তার।
তবে তার আগেই সৌভাগ্যক্রমে আবার জাতীয় দলে ফিরলেন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ। তবে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এবাদত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই ছিলেন ওয়ানডে দলে, তবে খেলার সুযোগ পাননি। তাকে মূল ব্যাকআপ হিসেবেই রাখা হয়েছিল এবং এবারও জিম্বাবুইয়ে গেলেন ব্যাকআপ হিসেবেই। খুব প্রয়োজন না পড়লে তার খেলার সম্ভাবনা একেবারেই কম।