ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভেনাসকে বিদায় করে স্বপ্নের ফাইনালে স্টিফেন্স

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভেনাসকে বিদায় করে স্বপ্নের ফাইনালে স্টিফেন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেই হারুক ইউএস ওপেনের ফাইনালের দুই তারকাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। তা ছিল আগে থেকেই নিশ্চিত। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে ভেনাস উইলিয়ামসকেই প্রত্যাশা করেছিল টেনিস-প্রেমীরা। কিন্তু সেটা আর হতে দিলেন না সেøায়ানে স্টিফেন্স। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের কঠিন লড়াইয়ে ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটেন সেøায়ানে স্টিফেন্স। এর ফলে নারী এককে এবার নতুন দুই ফাইনালিস্ট পেল ইউএস ওপেন। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শনিবার মেডিসন কেইসের মুখোমুখি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিভাবান খেলোয়াড় সেøায়ানে স্টিফেন্স। বয়সে সাঁইত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন ভেনাস উইলিয়ামস। কিন্তু তারপরও টেনিস কোর্টে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং উইম্বলডনের পর ইউএস ওপেনেও দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে জয়রথ থেমে যায় তার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৭ বারের গ্র্যান্ডসøাম জয়ী ভেনাসকে ৬-১, ০-৬, ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন সেøায়ানে স্টিফেন্স। দিনের অন্য সেমিফাইনালে কোকো ভেন্ডেওয়েঘেকে ৬-১ এবং ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন মেডিসন কেইস। স্টিফেন্স ও কেইস দু’জনই প্রথমবারের মতো কোন গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন। এতে ২০০২ সালের পর ইউএস ওপনের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই খেলোয়াড়। সেবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই বোন ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামস। ভেনাস এখন পর্যন্ত একবারই ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠেন। সেবার ছোট বোনের কাছে হেরে যান তিনি। অবশ্য তার আগে টানা দুই বছর শিরোপা জেতেন তিনি। তবে ৩৭ বছর বয়সী এ খেলোয়াড় সেমিফাইনালে হেরে গেলেন তারচেয়ে ১৩ বছরের কম বয়সী অবাছাই এক খেলোয়াড়ের কাছে। অথচ স্টিফেন্স টানা ১১ মাস ছিলেন পায়ের ইনজুরিতে। ইনজুরি থেকে যখন ফেরেন তখন টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ছিল ৯৫৭! তবে ইউএস ওপেনের আগে কোর্টে ফিরেই দুর্দান্ত খেলতে শুরু করেন। ফাইনালের আগ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচের ১৪টিই জিতেছেন তিনি। এতে উঠে এসেছেন র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮৩তম স্থানে। তবে এবার অবাছাই হিসেবে ইউএস ওপেনে খেলেন। দুই আমেরিকান ফাইনালে ওঠাকে দেশটির নারী টেনিস খেলোয়াড়দের দাপট হিসেবেই দেখছেন স্টিফেন্স। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ছোট্ট সেরেনা’ হিসেবে খ্যাত সেøায়ানে স্টিফেন্স নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন. ‘সেমিফাইনালের চারজনই যুক্তরাষ্ট্রের হওয়ায় দেশটির নারী টেনিস খেলোয়াড়দের দাপটই প্রমাণিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের এমন সাফল্যের ভাগীদার হতে পেরে আমি সত্যি গর্বিত।’ আর নিজের ফাইনালে ওঠায় বিস্মিত ২৪ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা। ভাষায় হারিয়ে ফেলছেন তিনি। স্টিফেন্স বলেন, ‘কীভাবে ফাইনালে উঠলাম তা আসলে বলতে পারছি না। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। গ্র্যান্ডসøামের ফাইনালে উঠে আমি খুবই খুশি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছুই। আমি মনে করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়রই তার ঘরের মাটিতে খেলার স্বপ্ন দেখেন।’ এদিকে মেডিসন কেইস তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘এখনও অনুভব করতে পারছি না যে, এটা সত্যিই কিনা! আমি এখনও কাঁপছি। তবে এখানে আমি খুব ভাল পারফর্ম করেছি। যদিওবা এই মুহূর্তে আমার মাথায় অনেক কিছুই ঘুরপাক খাচ্ছে।’ এবারের আসরে সেরেনা উইলিয়ামস এবং ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার মতো খেলোয়াড়রা ছিলেন না। তবে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেই আলো কেড়েছেন মারিয়া শারাপোভা। ইনজুরি থেকে ফিরে বেশ ভাল পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভাও। তবে হতাশ করেছেন রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ, ডেনমার্কের ক্যারোলিন ওজনিয়াকি এবং ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। তবে ইউএস ওপেনের শেষ ষোল থেকে বিদায় নেয়া গারবিন মুগুরুজার জন্য সুখবর হলো, এই টুর্নামেন্টের শেষেই বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি দখল করবেন তিনি।
×