ছবি: সংগৃহীত
মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর পারভেজ হোসেন ইমনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
দলের জয়ে ৩৯ বল মোকাবিলা করে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
এই জয়ের আগে সবশেষ ২০১৬ সালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান। এছাড়া ২২ রান করেন আব্বাস আফ্রিদি।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩.৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেশি ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েন মোস্তাফিজুর রহমান।
১২০ বলে ১১১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় টাইগাররা।
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন। তার আগে মাত্র ৪ বলে ১ রান করার সুযোগ পান তানজিদ।
তানজিদের আউটের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে তিনিও বেশি কিছু করতে পারেননি। বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লিটন। তিনি তানজিদের মতোই ৪ বলে মাত্র ১ রান করেন।
লিটনের বিদায়ে ২.২ ওভারে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তারা ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান।
তাওহিদ হৃদয় ৩৭ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৬ রানে আউট হওয়ার পর জাকের আলি অনিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংস ওপেন করতে নেমেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
শেখ ফরিদ
