
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ব্যবসায় ঋণ নেওয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারে বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুবিধা পাওয়া যায়। বন্ডের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করলে সেটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই ঋণের পরিবর্তের বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগে শেয়ারবাজারে ঝুকি কমানো সম্ভব। এছাড়া সৌদি আরব, দুবাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করতে নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর দিলকুশায় উইন্সফিন সিকিউরিটিজ নামে নতুন একটি ব্রোকারেজ হাউস উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, কোনো দোষ না করেই বর্তমানে বাংলাদেশে চার-পাঁচ হাজারের মতো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। বিদেশী ক্রেতা অর্ডার দেওয়ার পর সেখান থেকে সরে আসা এবং অন্যের কৃতকর্মের ফল প্রতিষ্ঠানকে ভুগতে হয়েছে। তাই বন্ডের মাধ্যমে টাকা নিলে সুদ দেওয়ার চাপ থাকে না।
শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম আরও বলেন, নতুন ট্রেক হিসেবে উইন্সফিন সিকিউরিটিজ যাত্রা শুরু করেছে। আশা করছি, প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করবে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা মধ্যপাচ্যে সুনামের সঙ্গে নানা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়াতে তারা এখন শেয়ারবাজারমূখী হয়েছেন। তাই আশা করছি তারা সৌদি আরব, দুবাইসহ অন্যান্য মধপাচ্যের দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন।
এ সময় ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, উইন্সফিন সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আয়াজ ওয়ারিশ খান ওয়ারসি, উইন্সফিন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খালিদ আয়াজ খান, উইন্সফিন সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হুমায়ুন হাবিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উইন্সফিন সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আয়াজ ওয়ারিশ খান ওয়ারসি বলেন, দুবাইতে আমাদের ব্যাবসা আছে। দুবাই থেকে আমরা বাংলাদেশ প্রথম ২০১৭ সালে হারফি বাংলাদেশ নামে ইনভেস্টমেন্ট আনি। দুবাইতে অনেক ইনভেস্টর রয়েছে, যারা দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, শেয়ার ব্যবসায় আমরা নতুন। এ জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাপোর্ট প্রয়োজন।