ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

উইন্ডোজ পিসি রিসেট করার ৬টি জরুরি সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২০ জুলাই ২০২৫

উইন্ডোজ পিসি রিসেট করার ৬টি জরুরি সতর্ক সংকেত

ছবি: সংগৃহীত

আপনার উইন্ডোজ পিসি কি আজকাল ধীরগতিতে চলছে, নাকি অস্বাভাবিকভাবে ক্র্যাশ করছে? মাসের পর মাস ধরে এমন সমস্যায় ভুগে অবশেষে ফ্যাক্টরি রিসেট করে জোন মার্টিনডেল তার পিসিকে একদম নতুনের মতো সচল করেছেন। তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, যদি আপনার পিসি নিচের লক্ষণগুলো দেখায়, তাহলে দেরি না করে এখনই রিসেট করা উচিত:

১. পিসি অস্বাভাবিক ধীরগতির হয়ে গেছে: আপনার পিসি যদি অ্যাপ চালু করতে বা গেমে ফ্রেম ড্রপ করতে গিয়ে অস্বাভাবিকভাবে ধীরগতির হয়ে যায়, তাহলে এটি রিসেট করার একটি বড় লক্ষণ। এমনকি হাই-এন্ড গেমিং পিসিগুলোতেও (যেমন Ryzen 9 7950X3D, 32GB RAM) এমনটা হতে পারে। ড্রাইভার আপডেট বা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সরিয়েও যদি লাভ না হয়, তাহলে রিসেটই চূড়ান্ত সমাধান।

২. ক্র্যাশ, গ্লিচ এবং অস্বাভাবিক সমস্যা: পিসিতে যদি বারবার ক্র্যাশ, অদ্ভুত গ্লিচ বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে সতর্ক হোন। যেমন, লজিটেক ওয়েবক্যাম পিসি স্লিপ মোড থেকে জাগালে সিস্টেম হ্যাং হয়ে যাওয়া, বা সেকেন্ড মনিটর রিবুট করার পর সাদা স্ক্রিন দেখানো—এগুলো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত। বারবার ট্রাবলশুট করেও যদি সমস্যা ফিরে আসে, তাহলে রিসেট করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না।

৩. জমে থাকা ব্লোটওয়্যার: বিভিন্ন টেস্টিং বা কাজের জন্য ইন্সটল করা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বা ব্লোটওয়্যার পিসির স্টোরেজ দখল করে এবং পারফরম্যান্স খারাপ করে। ম্যানুয়ালি একের পর এক অ্যাপ আনইন্সটল করার চেয়ে পুরো সিস্টেম রিসেট করে ফেলা অনেক সহজ ও কার্যকর।

৪. শেষ রিসেটের পর বছর পার হয়ে গেছে: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, বছরে অন্তত একবার পিসিকে ফুল রিসেট করা উচিত। জোন মার্টিনডেলের মতো অনেকেই ৩ বছর বা তার বেশি সময় ধরে অবহেলা করেন, যার ফলস্বরূপ পিসির পারফরম্যান্স কমে আসে। নিয়মিত রিসেট আপনার পিসিকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে রাখতে সাহায্য করে।

৫. নতুন হার্ডওয়্যার আপগ্রেডের আগে: যদি আপনি নতুন SSD, CPU, বা GPU-এর মতো হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করেন, তাহলে পুরানো ড্রাইভার বা সেটিংস নতুন হার্ডওয়্যারের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। প্রো টিপস হলো, ডিসপ্লে ড্রাইভার আনইন্সটালার (DDU) ব্যবহারের পরেও একটি ফ্রেশ উইন্ডোজ ইন্সটল করা উচিত। এটি নতুন হার্ডওয়্যারের সাথে পিসির মসৃণ সমন্বয় নিশ্চিত করে।

৬. ম্যালওয়্যার আক্রমণ: অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করার পরও কিছু জটিল ম্যালওয়্যার সিস্টেমে থেকে যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সমাধান হলো হার্ড ড্রাইভ 'জিরো ফিল' করে ফুল রিসেট করা (অর্থাৎ হার্ড ড্রাইভের সব ডেটা মুছে ফেলা) অথবা নতুন হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করা।

কীভাবে আপনার পিসি রিসেট করবেন?

রিসেট করার আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ক্লাউড স্টোরেজ বা এক্সটার্নাল ড্রাইভে ব্যাকআপ করে নিন। এরপর:

  • Settings > System > Recovery > Reset this PC অপশনে যান।

  • সেখানে আপনি "Keep my files" (আপনার ফাইল রেখে সফটওয়্যার রিসেট) অথবা "Remove everything" (সবকিছু মুছে ফ্যাক্টরি রিসেট) - এই দুটি বিকল্পের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দসই অপশনটি বেছে নিতে পারেন।

  • ক্লাউড ডাউনলোড অপশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে সরাসরি একটি ফ্রেশ উইন্ডোজ ইন্সটল করা সবচেয়ে ক্লিন এবং কার্যকর উপায়।

জোন মার্টিনডেলের শেষ পরামর্শ হলো: "আমার মতো ৩ বছর অপেক্ষা করবেন না! রিসেটের পর পিসি নতুনের মতো পারফরম্যান্স দেবে।" আপনার পিসির স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই সতর্ক সংকেতগুলো খেয়াল রাখুন।

সূত্র: PCWorld

সাব্বির

×