ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

স্মার্টফোনে ধীরগতি? ৫টি উপায়েই মিলতে পারে সমাধান

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ২০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০২:৩৭, ২০ জুলাই ২০২৫

স্মার্টফোনে ধীরগতি? ৫টি উপায়েই মিলতে পারে সমাধান

ছবি: প্রতীকী

স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কল বা বার্তা পাঠানো ছাড়াও বিনোদন, কেনাকাটা, সামাজিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহৃত হয় এই ডিভাইসটি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারের মাত্রা বাড়ায় অনেক সময় ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে।

ফলে অনেকেই পুরোনো ফোন বদলে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবেন। তবে প্রযুক্তিবিদদের মতে, মাত্র কয়েকটি সাধারণ পদক্ষেপেই পুরোনো ফোনের গতি আগের মতো ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নিচে তেমনই পাঁচটি উপায় তুলে ধরা হলো:

১. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো বন্ধ থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চালিয়ে যায়। এতে প্রসেসরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ফোন ধীরগতির হয়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ব্যবস্থাপনা করলে ফোনের গতি ও ব্যাটারি ব্যাকআপ দুটোই উন্নত হয়।

২. ক্যাশে মুছে ফেলুন

অ্যাপ ব্যবহারের সময় জমা হওয়া সাময়িক ডেটা বা ক্যাশে ফোনকে ভারী করে তোলে। নিয়মিত এই ক্যাশে ডেটা মুছে ফেললে ফোন আগের চেয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং অ্যাপগুলোও স্বাচ্ছন্দ্যে চালানো যায়।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন

অনেক সময় একবার ব্যবহার করে ডাউনলোড করা অ্যাপ আর কাজে লাগে না। তবে তা ফোনের স্টোরেজ দখল করে রাখে। অব্যবহৃত অ্যাপগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয়, যা ফোনকে দ্রুত ও সাড়া–দানে সক্ষম করে তোলে।

৪. সফটওয়্যার আপডেট করুন

ফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দিয়ে থাকেন, যা শুধু নিরাপত্তাই বাড়ায় না, পারফরম্যান্সও উন্নত করে। তাই সময়মতো ফোন আপডেট করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. ব্যাটারির কার্যকর ব্যবস্থাপনা

স্ক্রিনের অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’ ফিচার প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম সীমিত করলেই ফোনের গতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সহজ উপায় মেনে চললে নতুন ফোন কেনার প্রয়োজন না-ও হতে পারে। সচেতন ব্যবহারে পুরোনো স্মার্টফোনটিও হয়ে উঠতে পারে নতুনের মতো গতিময়।

 

সূত্র: নিউজ১৮।

রাকিব

×