
আজকের দিনে একটি মনিটরের ব্যবহার শুধু ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে সীমাবদ্ধ নয়। সঠিক অ্যাডাপ্টার এবং ডিভাইসের মাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে মাল্টিফাংশনাল একটি গ্যাজেট—স্মার্টফোনের ডিসপ্লে, গেমিং কনসোলের স্ক্রিন, লাইভ ক্যামেরা মনিটর, স্ট্রিমিং টিভি বা এমনকি হোম সিকিউরিটি সিস্টেমের ডিসপ্লে হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং আইফোনকে সহজেই ইউএসবি-সি বা লাইটনিং টু এইচডিএমআই অ্যাডাপ্টরের মাধ্যমে মনিটরে সংযুক্ত করে স্ক্রিন মিররিং করা যায়। উচ্চমানের স্যামসাং গ্যালাক্সি ডিভাইসগুলোতে রয়েছে “Samsung DeX” সুবিধা, যা মনিটরে ডেস্কটপ লে-আউট সরবরাহ করে। এতে মাল্টিটাস্কিং, উইন্ডো রিসাইজিং এবং ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ সুবিধা পাওয়া যায়।
ব্লুটুথ কিবোর্ড ও মাউস সংযুক্ত করে স্মার্টফোনকে পুরোপুরি একটি মিনি-পিসিতে রূপান্তর করা সম্ভব। এছাড়াও, ক্যামেরার সাথে মনিটর সংযুক্ত করে লাইভ ভিডিও প্রিভিউ দেখা যায়, যা ইউটিউব ভিডিও নির্মাতা বা লাইভস্ট্রিমারদের জন্য দারুণ কার্যকর।
যারা সিনেমা বা সিরিজ দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য স্ট্রিমিং স্টিক—যেমন অ্যামাজন ফায়ার স্টিক, রোকু বা অ্যাপল টিভি—মনিটরের সাথে সংযোগ দিয়ে তৈরি করা যায় স্মার্ট টিভি অভিজ্ঞতা। তবে বেশিরভাগ মনিটরে বিল্ট-ইন স্পিকার না থাকায় ভালো অডিওর জন্য এক্সটারনাল স্পিকার ব্যবহার করতে হয়।
গেমারদের জন্য মনিটর আদর্শ, কারণ এতে টিভির তুলনায় ইনপুট ল্যাগ কম হয়, ফলে প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত পাওয়া যায়। পোর্টেবল মনিটর থাকলে, গেমিং কনসোল যে কোনো জায়গায়—যেমন হোটেল রুম বা রান্নাঘরেও—স্থাপন করা যায়।
মনিটর ব্যবহার করে পুরনো ডিভিডি বা ব্লু-রে প্লেয়ারেও মুভি দেখা সম্ভব, যা ছোট জায়গার জন্য দারুণ একটি বিকল্প। পাশাপাশি, সিকিউরিটি ক্যামেরা বা ডিভিআর সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করে এটি ব্যবহার করা যায় একটি নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা মনিটর হিসেবে।
সবশেষে বলা যায়, একটি সাধারণ মনিটর কেবল উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম দেখানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি হতে পারে আপনার গেমিং, স্ট্রিমিং, প্রোডাকটিভিটি বা নিরাপত্তা সল্যুশনের মূল ভিত্তি—শুধুমাত্র প্রয়োজন সঠিক ডিভাইস এবং সংযোগের।
Jahan