
ছবি: সংগৃহীত
অ্যাপলের পরবর্তী আইফোন আপগ্রেড গুগলের জন্য বড় দুঃসংবাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মূল বিষয়টি ঘিরে রয়েছে বহুল আলোচিত RCS মেসেজিং প্রটোকল এবং তার নিরাপত্তা।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (Federal Bureau of Investigation)-সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে বলেছে, আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেসেজ আদান-প্রদান এখনো সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপ্টেড নয়। গত ডিসেম্বরে মার্কিন মোবাইল নেটওয়ার্কে ‘সল্ট টাইফুন’ নামের সাইবার হুমকি ধরা পড়ার পরই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জোরালো হয়।
অ্যাপল এক দশক পর রিচ কমিউনিকেশন সার্ভিসেস বা RCS প্রযুক্তি ইমেসেজ-এ যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু এটি এখনো পূর্ণাঙ্গ রূপে বাস্তবায়িত হয়নি। iOS ১৮ সংস্করণে যে সীমিতভাবে এই প্রযুক্তি আনা হয়েছিল, তাতে আইফোন-অ্যান্ড্রয়েড বার্তা বিনিময়ে নিরাপত্তা ঘাটতি থেকেই যায়।
মার্চ মাসে মোবাইল স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারক সংস্থা GSMA নতুন RCS প্রটোকল উন্মোচন করে, যাতে পূর্ণ end-to-end encryption যুক্ত ছিল। গুগল তাদের মেসেজ প্ল্যাটফর্মে এটি ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করলেও, অ্যাপলের iOS ২৬ এর এখনো তৃতীয় ডেভেলপার বেটা পর্যন্ত সেই নিরাপত্তা ফিচার যোগ করা হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, Apple এর এই দেরি কৌশলগত। অ্যাপল বরাবরই নিজেদের নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর ভরসা রাখে এবং RCS এখনো iMessage-এর পাশে একটি অতিরিক্ত ফিচার হিসেবেই রয়েছে। এদিকে গুগল RCS ভিত্তিক বার্তা আদান-প্রদানের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
MacRumors ও Wccftech জানিয়েছে, এখনো অ্যাপলের আইফোনে নতুন RCS প্রটোকল চালু হয়নি, ফলে ব্যবহারকারীদের মেসেজ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু গুগলের জন্য নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। কারণ, Malwarebytes-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএমএস ভিত্তিক ম্যালওয়্যারের পরিমাণ ৬৯২ শতাংশ বেড়েছে, যা টোল ফি স্ক্যামের মতো বড় আকারের প্রতারণার কারণ হয়ে উঠছে।
সূত্র: ফোর্বস।
রাকিব