
মোবাইল নাম্বার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তার যুগে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) অনলাইনে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। অনেকেই নিজের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেন এই নিরাপত্তা পদ্ধতিতে। তবে ফোন নাম্বার ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা না নিলে হ্যাকিং বা SIM সুইচিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
নিচে রইল এমন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আপনাকে আরও বেশি নিরাপত্তা দেবে—
🔐 ১. ফোনে শক্তিশালী পাসকোড বা বায়োমেট্রিক লক দিন
আপনার ফোন যেন পাসওয়ার্ড, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। ফোন চুরি হলেও কেউ যেন আপনার 2FA কোডে সহজে প্রবেশ করতে না পারে।
📶 ২. SIM কার্ডে PIN লক চালু করুন
মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে SIM PIN চালু করলে কেউ আপনার SIM খুলে অন্য ফোনে ব্যবহার করতে পারবে না। এটি SIM সুইচিং প্রতিরোধে কার্যকর।
🌐 ৩. মোবাইল নাম্বার যেসব সাইটে ব্যবহার করছেন তা পর্যালোচনা করুন
শুধু নিরাপদ ও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটেই ফোন নাম্বার দিয়ে 2FA চালু করুন। অজানা ও অবিশ্বস্ত সাইটে ব্যবহার না করাই ভালো।
📵 ৪. নিজের মোবাইল নাম্বার সর্বত্র ছড়িয়ে দেবেন না
সোশ্যাল মিডিয়া বা পাবলিক ফোরামে ফোন নাম্বার শেয়ার করলে হ্যাকাররা আপনার নম্বর দিয়ে ফিশিং বা SIM হাইজ্যাক করতে পারে।
📲 ৫. SMS এর বদলে Authenticator অ্যাপ ব্যবহার করুন
SMS-এর চেয়ে নিরাপদ হল অ্যাপ-ভিত্তিক 2FA, যেমন: Google Authenticator, Authy ইত্যাদি। এতে SIM পরিবর্তনের মাধ্যমে কেউ কোড নিতে পারবে না।
📞 ৬. মোবাইল অপারেটরের কাছে অতিরিক্ত সুরক্ষা চালু করুন
অপারেটরের কাছ থেকে অতিরিক্ত পাসওয়ার্ড বা নিরাপত্তা PIN চালু করে নিন, যাতে কেউ সহজে আপনার SIM পরিবর্তন করতে না পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের জন্য মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করলে অবশ্যই আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। তা না হলে হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে না।
অনুবাদসূত্র: https://www.androidpolice.com
তাসমিম