ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যা পৃথিবীকে গিলে নিতে পারে মুহূর্তেই

বিশালাকার ব্ল্যাক হোলের আবিস্কার করল বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৯ জুলাই ২০২২; আপডেট: ১৪:২৬, ১৯ জুলাই ২০২২

বিশালাকার ব্ল্যাক হোলের আবিস্কার করল বিজ্ঞানীরা

ব্ল্যাক হোল

একদল বিজ্ঞানী মহাকাশে পুনরায় এক রহস্যের উদ্ঘাটন করলেন। তারা জানিয়েছেন বিশাল আকারে কৃষ্ণ গহবরের (black hole) সন্ধান পেয়েছেন। যে কৃষ্ণগহবরটি প্রতি সেকেন্ডে একটা করে পৃথিবী গিলে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
সম্প্রতি আবিষ্কৃত এই ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তারা জানিয়েছেন মহাকাশের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা ব্ল্যাক হোল এটি। এর বেড়ে ওঠার গতি এতটাই বেশি যে প্রতি সেকেন্ডে একটা করে পৃথিবী গিলে ফেলার ক্ষমতা রাখে। নতুন ব্ল্যাকহোলটি আবিষ্কার করেছে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নতুন এই ব্লাকহোল আবিষ্কারের পর এটি সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে তারা বলেছেন ‘খড়ের গাদায় খুব প্রত্যাশিত সুচ পাওয়ার মতো’ এবং এই মহাজাগতিক বস্তু থেকে আগত আলোকরশ্মি আমাদের নিজস্ব মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে আগত আলোর চেয়ে ৭ হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল। শুধু তাই নয় এই ব্ল্যাকহোল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকেও দৃশ্যমান।
ম্যাসিভ ব্লাকহোলটি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হলেও এটি সম্পর্কে গবেষণা চলছে অনেকদিন ধরেই। স্কাইম্যাপার সাদার্ন সার্ভে এর সিম্বিওটিক বায়োনারি নক্ষত্রের অনুসন্ধানের সময় এটি প্রথম চোখে পড়েছিল। এই সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফল তখন থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয় অস্ট্রেলিয়ান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রকাশনায়। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী দলের প্রধান গবেষক ছিলেন ডক্টর ক্রিস্টোফার ওঙ্কেন, তিনি জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সন্ধান করে চলেছেন এটি। অনুসন্ধান চলাকালীন বিভিন্ন বস্তু তাদের চোখে পড়লেও এত উজ্জ্বল বস্তুটি তাদের কখনোই নজরে আসেনি।
বিশালাকার এই ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন দুটি গ্যালাক্সি একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে তৈরি হতে পারে উচ্চ মাধ্যাকর্ষণ বলের, যার কারণে নক্ষত্রের মৃত্যুর সময় ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়। বৃহদাকার তারা ছোট জায়গায় সংকুচিত হওয়ার কারণে পারিপার্শ্বিক আলো নিজের মধ্যে টেনে নেয় এবং কেন্দ্রস্থলে তৈরি করে নিকষ কালো অন্ধকার।


 

×