ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সেফহোম থেকে জিপিএ-৫ পেল সেই দোআশা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৩ মে ২০১৬

সেফহোম থেকে জিপিএ-৫ পেল সেই দোআশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১২ মে ॥ শেরপুরের সেই তাবাসসুম বিনতে বানিন দোআশা এবার কঠিন যুদ্ধজয়ী হয়েছে। নিরাপদ হেফাজতে থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও সে জিপিএ গোল্ডেন পেয়েছে। আনন্দের এ সন্ধিক্ষণে সে প্রেমিক-স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি ব্যক্ত করেছে। জানা যায়, শেরপুর শহরের চিকিৎসক-অধ্যাপক দম্পতির অসম্ভব জেদী মেয়ে তাবাসসুম বিনতে বানিন দোআশা ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও সব পরীক্ষা শেষ না করে কলেজশিক্ষার্থী বন্ধু জিহানের সাথে সম্পর্কের সূত্রে চলে যায় ওই বছরের ১৪ মার্চ। পরদিন সে জিহানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বাদসাধেন পিতা। ‘অপরিণত’ বয়সের অজুহাত তুলে তিনি (দোআশার বাবা) মামলা ঠুকে দেন জিহান, তার পিতা-মাতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। ওই অবস্থায় পুলিশী হয়রানির ভয়ে দোআশাকে নিয়ে জিহান ২২ জুলাই শেরপুর সদর থানায় আত্মসমর্পণ করে। এরপর জিহানকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে যায় কারাগারে। আর দোআশাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে জানায়, সম্পর্কের সূত্রে জিহানের সাথে স্বেচ্ছায় চলে গিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা। সেইসাথে আরও জানায়, তার ওই ঘটনায় জিহানের বাবা-মাসহ অন্য কেউ জড়িত না থাকার কথা। কিন্তু অপরিণত বয়স এবং অভিভাবকের জিম্মায় যেতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তাকে যেতে হয় ফরিদপুরের ট্যাপাখোলা মহিলা ও কিশোরী নিরাপদ হেফাজত আবাসন কেন্দ্রে (সেফহোমে)। এরপর থেকে পিতা-মাতা ও অন্যান্য আসামিসহ জিহান পর্যায়ক্রমে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে গেলেও দোআশাকে থাকতে হয়েছে নিরাপদ হেফাজতের চার দেয়ালে আবদ্ধ। তবে এরপরও সে থেমে থাকেনি। ঝিনাইদহে ৭১ জনের জামিন নামঞ্জুর আ’লীগ কর্মী হত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১২ মে ॥ ঝিনাইদহের পদ্মাকর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মী আকামত মীর হত্যা মামলায় ৭১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গত ৮ এপ্রিল পদ্মাকর ইউনিয়নের ছয়াইল গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আকামত মীর নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকবর হোসেন মীর বাদী হয়ে ৭৩ জনের নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
×