ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একক গ্রাহক ব্যাংক ঋণসীমা মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি নয়

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১২ মে ২০১৬

একক গ্রাহক ব্যাংক ঋণসীমা মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোন একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে (সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট) দেয়া ব্যাংকের মোট ঋণ কোন অবস্থাতে মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পূর্বে বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা খাতকে এই হারের বেশি ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে ব্যাংক-কোম্পানি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা স্পষ্ট করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে প্রদত্ত বা প্রদেয় সকল ঋণ সুবিধার আসল অঙ্কের মোট পরিমাণ কোন অবস্থাতেই ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ খ (১) ধারার শতাংশে বর্ণিত নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত ব্যাংক কোম্পানি কর্তৃক ধারা ১৩-এর উপধারা (১)-এর বিধান মোতাবেক রক্ষিত মূলধনের শতকরা ২৫ ভাগের অধিক হবে না। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যে সকল ব্যাংকের কোন একক গ্রাহককে প্রদত্ত ফান্ডেড সুবিধার আসল পরিমাণ ইতোমধ্যে উল্লেখিত ২৫ শতাংশের সীমা অতিক্রম করেছে, সে সকল ব্যাংককে উক্ত ঋণসুবিধা ৩১ ডিসেম্বর’১৬-এর মধ্যে নির্ধারিত সীমায় আনতে হবে। ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি বিআরপিডির ২ নং পরিপত্রে কতিপয় বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা খাতে ঋণ প্রদানে সীমার অতিরিক্ত দেয়ার বিধান অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। ওই পরিপত্র অনুসারে, যে কোম্পানিতে সরকারের ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে, সরকার বা সরকারের গ্যারান্টি, বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংক তথা বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো ব্যাংকের গ্যারান্টি রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যাদেশ এমন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের একক গ্রাহক ঋণসীমার অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ ছিল। ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিপালনার্থে একক গ্রাহককে প্রদত্ত বা প্রদেয় ফান্ডেড ঋণ সুবিধার আসল অঙ্কের বকেয়ার পরিমাণ ব্যাংকের মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি হবে না এই মর্মে বিআরপিডি সার্কুলার নং ০২/১৪-এর মাধ্যমে নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে উক্ত সার্কুলারের ৩ নং ক্রমিকে কতিপয় বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা খাতে ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার ইক্সপোজার লিমিট সংক্রান্ত উক্ত নির্দেশনার পরিপালন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উক্ত অব্যাহতির সুবিধা কোনভাবেই ২৬ খ (১) ধারার শতাংশে বর্ণিত নির্দেশনার পরিপন্থী হওয়ার সুযোগ নেই। পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একক গ্রাহককে প্রদত্ত ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির মর্মার্থ অস্পষ্ট বিবেচনায় কোন কোন ব্যাংক উক্ত আইনের নির্দেশনা পরিপালনার্থে ব্যর্থ হয়েছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
×