ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্ত, ৫ মামলা দায়ের ॥ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্ত, ৫ মামলা দায়ের ॥ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ শান্ত হয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মঙ্গলবার দিনভর সহিংস ঘটনার পর বুধবার গোটা শহর কার্যত শান্ত ছিল। মঙ্গলবারের সহিংসতার পর বুধবার সদর থানায় কয়েক হাজার অজ্ঞাত লোককে আসামি করে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ কমপক্ষে ১ হাজার অজ্ঞাত লোককে আসামি করে মামলা করেছে। এদিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং জেলা ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলার প্রধান জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবারের হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তবে শহরের গুরুত্বúূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শহরের কোন কোন এলাকা দৃশ্যত থমথমে ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণসহ শহরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন। র‌্যাব বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের জিএম মকবুল হোসেন রেলস্টেশন সরেজমিন পরির্দশন করেছেন। এদিকে, জামিয়ার ছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তা-বের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গীবাদীরাই জড়িত বলে দাবি করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এ দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের পরিষ্কার করে বলেছে, হামলা-ভাংচুরের সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্ররা জড়িত নয়। তাদের মধ্যে একটি অপশক্তি প্রবেশ করেছিল। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন না এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশবিরোধী শক্তি তারাই সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ের ভাংচুর চালিয়েছে। প্রশাসন নির্লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ তা-বে অন্তত ৭০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। প্রশাসন ইচ্ছে করলে অন্তত একটি প্রতিষ্ঠানকে হলেও হামলা থেকে রক্ষা করতে পারত। তিনি সরকারের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিহত মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত রহস্যোদ্ঘাটন ও পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
×