সিরিয়ার অবরুদ্ধ শহর মাদায়াতে মুমূর্ষু ৪শ’ লোককে জরুরী ভিত্তিতে অবশ্যই সরিয়ে আনতে হবে। কারণ তাদের চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। কয়েকমাসের মধ্যে প্রথম অবরুদ্ধ নগরীটিতে ত্রাণ পৌঁছানোর পর সোমবার জাতিসংঘ এ কথা বলেছে। খবর এএফপির
জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান স্টিফেন ওব্রিয়েন বলেন, মাদায়াতে হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ত্রাণকর্মীরা প্রায় ৪শ’ সিরীয়কে অনাহার, অপুষ্টিসহ অন্যান্য রোগে ভুগতে দেখেছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ওব্রিয়েন সাংবাদিকদের বলেন, জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার স্বার্থে প্রায় ৪শ’ লোককে জরুরী ভিত্তিতে সরিয়ে আনা প্রয়োজন। কারণ তারা জীবন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি ওই শহরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণকারী সিরীয় সরকার ও সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে মাদায়া থেকে চার শ’ লোককে সরিয়ে আনার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। তার এ আহ্বানের কয়েকঘণ্টা আগে ত্রাণ বহনকারী ৪৪টি ট্রাক মাদায়া শহরে প্রবেশ করে। শহরটি গত ছয়মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে।
এদিকে ত্রাণ বহনকারী আরও ২১টি ট্রাক ফুয়া ও কাফরায়া শহরে প্রবেশ করেছে। শহর দুটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাদায়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসে। কারণ শহরটির বাসিন্দারা বলছে, তারা বাঁচার জন্য ঘাস খাচ্ছে। এমনকি মাংসের জন্য বিড়াল মেরে তা খেতে বাধ্য হচ্ছে। মার্কিন দূত সামান্থা পাওয়ার বলেন, চার শ’রও বেশি লোক মৃত্যুর কিনারায়। তাদের অবিলম্বে সরিয়ে আনা প্রয়োজন। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা আশা করছেন মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে সিরিয়ার জাতিসংঘ দূত বাশার জাফারি মাদায়াতে এ ধরনের অনাহারে থাকার খবর অস্বীকার করে একে অতিরঞ্জিত বলে বর্ণনা করেন। তিনি শহরের অভ্যন্তর থেকে সন্ত্রাসীরা ত্রাণ চুরি করছে বলে অভিযোগ করেন।