ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জাফর ওয়াজেদ

রাজনৈতিক মানুষ নাচে

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১ জানুয়ারি ২০১৬

রাজনৈতিক মানুষ নাচে

বাঙালীর জীবন থেকে শুধু নয়, বিশ্ব মানবের জীবন থেকেও ভাল-মন্দে, সুখে-দুখে, হাসি-বেদনায়, যুদ্ধ বিগ্রহে, গণহত্যায় গ্রথিত বছর ২০১৫ সাল বিদায় নিয়েছে। পাওয়া না-পাওয়ার হিসাব মেলাতে মেলাতে স্মরিত হবে বাংলা প্রবাদটি, ‘যায় দিন, ভালো দিন, আসে দিন খারাপ দিন।’ মূলত ভাল-মন্দ, আশা-নিরাশার দোলাচলে কেটেছে বিদায়ী বছরটি। কখনও ত্রাসে-সন্ত্রাসে, কখনও শান্তি, স্বস্তির পরশে। এরই মাঝে বিচরণ করেছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সংশয়, সন্দেহ, নাশকতা, নৃশংসতা, নারকীয়তা, নির্মমতা, সহিংসতা, হানাহানি, বোমাবাজি, জীবন্ত মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ শব্দগুলো। অবশ্য সবই হয়েছে পূর্ববর্তী বছর ২০১৪ সালের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই। রেশ তার এখনও মিলিয়ে গেছে বলা যায় না। বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল ডেকে যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে হতাহতের ঘটনা দিয়ে ২০১৪ সালের সমাপ্ত টানলেও ২০১৫ বর্ষে এই পেট্রোলবোমা কেন্দ্রিক তৎপরতা শুরু করে। যা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করার শামিল বলা যায়। ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস ও শেষের চারমাস দেশ জুড়ে ত্রাস-সন্ত্রাসে জঙ্গীপনার মাধ্যমে মানুষ হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার স্তূপে পূর্ণ ছিল। বিএনপি-জামায়াত নামক রাজনৈতিক দল ও জোট স্বাভাবিক রাজনীতির পথ থেকে সরে গিয়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীপনা তথা সন্ত্রাসকে রাজনীতির পন্থা অবলম্বন করে জঙ্গীবাদের ধারক-বাহকে পরিণত হয়েছে। অবরোধ-হরতাল ডেকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে একাত্তরের মতই নির্মমভাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি থেকে রক্ষা, ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত এবং দেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে বিএনপি-জামায়াত নাশকতার যে পথ বেছে নিয়েছে তা থেকে সরে এসেছে, বলা যাবে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বিদায়ী বছরে দৈন্যদশায় পতিত হয়ে জঙ্গীবাদের সমর্থক, পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছে। আর তার সহযোগী জামায়াতে ইসলামী গণরোষে হারিয়ে গেলেও ভিন্ন ভিন্ন নামে জঙ্গী সংগঠন গড়ে তুলে দেশব্যাপী নাশকতা অব্যাহত রেখেছে। কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার অপেক্ষায় বিএনপি ও জামায়াত। ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের পুরো তৎপরতাই ছিল দেশ ও জাতিবিরোধী। নানা ঘটন-অঘটনে কেটে যাওয়া ২০১৫ বাঙালীর জন্য দেশ, জাতি, স্বাধীনতা নিয়ে ভাবার বছর ছিল। একাত্তরের পরাজিত শক্তির আস্ফালনে পূর্ণ বছরটির মধ্যে ক্লেদ, গ্লানি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির ধারাপথ। মূলত এই সময়কাল সাংবাদিক স্বদেশ রায়ের ভাষায়, নষ্টদের তালিকা দীর্ঘ হওয়ার বছর বলা যায়। অবাধ কথা বলার স্বাধীনতা আর যা খুশি তা করার নর্তন-কুর্দনে নষ্টদের বাগাড়ম্বর কেবলই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা না করে সশস্ত্র পন্থায় রাজনীতির বিকাশ ঘটানোর অপচেষ্টা বিশেষ মাত্রা পাবার বছর ছিল। বাঙালীর যে দিন গেছে, তা একেবারেই গেছে, হয়তো তা নয়। নষ্ট ভ্রষ্ট, অসাধুদের ভিড়-ভাট্টায় কত কি যে গেছে হারিয়ে ! রাজনীতিহীন পরিবেশে সন্ত্রাসের দু’বাহু জড়িয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করার দৃশ্যপট অবলোকন করেছে জাতি। সত্তর দশকের শেষার্ধে বাংলাভাষী কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন রাজনীতিকদের নিয়েÑ “মিছে এবং নিছক মিছেই/ রাজনৈতিক মানুষ নাচে মনুমেন্টের নিচে।” ২০১৫ সালের ঘটনাপ্রবাহের দিকে তাকালে এই লাইনগুলো মনে আসে। অফিস কাম রেসিডেন্স যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা ও নাশকতার যে সূত্রপাত বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালে করেছে তার বিস্তার ঘটানো হয় ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে। সরকারকে উৎখাত করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ এবং বেগম জিয়াসহ তদীয় পুত্রের দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পাবার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বেগম জিয়া ও জামায়াত। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ ঘরবাড়ি ছেড়ে বেগম জিয়া তিন জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে অফিস কাম রেসিডেন্স তৈরি করেন। সেখান থেকে ৫ জানুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ঘোষণা করেন, যা ২০১৫ সালেও প্রত্যাহার করা হয়নি। টানা ৯২দিন তিনি বসবাস করেন গুলশান অফিসে। সেখান থেকে নির্দেশ যেত, আর চলন্ত বাসে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করা হতো মানুষ। যে দেশের মানুষ পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে, আবার পাখির ডাকে জাগে, সেই দেশের মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত হত্যা কিংবা ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে খুন করার মতো নাশকতায় লিপ্ত হওয়া কোন রাজনীতিকের কাজ না হলেও, তারা তাই করেছে টানা তিন মাস ধরে। নাশকতার যে বিষবাষ্প ছড়িয়েছে, তাতে দেড়শতাধিক সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে, সহস্রাধিক আহত হয়েছে। পুলিশ, অন্তঃসত্ত্বা নারীও বাদ যায়নি। শিক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে সে জন্য হরতাল ডাকা হয়েছিল। ফলে সেসব পরীক্ষার্থীর ফল খারাপ হয়েছিল। পাকিস্তানী তালেবান স্টাইলে এদেশেও জঙ্গীবাদী তৎপরতা চালিয়েছে তারা। অন্ধকারের শক্তি হিসেবে শুভকে গ্রাস করতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। একাত্তরের পরাজিত শক্তির নেত্রী হিসেবে এবার ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চ বেগম জিয়া শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধে যাননি। ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা অফিস কাম রেসিডেন্স পর্ব শেষ করে অবশেষে তিনি স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। তারপর টানা দু’মাস অবকাশ যাপনসহ নীরব ছিলেন। নাশকতার নেশা এতই উন্মত্ত করে তুলেছিল যে, প্রবাসে পলাতক পুত্রের লাশ দেশে এলেও তিনি কবর জেয়ারত করতে যাননি। টানা তিন মাস যে আচরণ জাতি অবলোকন করেছে, তাতে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে জঙ্গীনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অনেক পরিবার ধ্বংসের মুখোমুখী হয়েছে তারই কারণে। স্বজনহারা মানুষের আহাজারি আজও কান পাতলে শোনা যায়। খালেদা-অমিত শাহ কথোপকথন মিথ্যাচার বিএনপি ও তার চেয়ারপারসনের স্বভাবজাত। এ বিষয়ে তাদের অধ্যবসায় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই দিনকে রাত, রাতকে দিন বানাতে এখনও কসুর করেন না। অফিস কাম-রেসিডেন্সে দিনরাত যাপনকালে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ফোনে বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে খোঁজ নেন বলে খালেদার মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানায়। বিজেপির সঙ্গে বিএনপির গভীর ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে এমনটা বুঝাতে চাইলেও তাতে বুমেরাং হয়েছে। অমিত শাহ বলে দিয়েছেন, এসবই ভুয়া, গুজব। এতে বিএনপি জালিয়াতি করার ক্ষেত্রে আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে। কংগ্রেস ম্যানের ভুয়া বিবৃতি রাজনীতিতে দিশেহারা থেকে দেউলিয়াপনায় যাওয়ার পথে বিএনপি বিগত বছরের গোড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সংসদ সদস্যের নামে একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠায়। তা ছাপা এবং প্রচার হয়। বিবৃতিতে কংগ্রেসের ৬ সদস্যের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার পুত্র তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছেন। ৭ জানুয়ারির এ বিবৃতির প্রতিবাদ করেন সংশ্লিষ্টরা। কংগ্রেস সদস্যদের নামে বিবৃতির জাল খসড়া আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। বিএনপির এ ধরনের মিথ্যাচারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছিল সে সময়। বিএনপির অধঃপতনকাল যে ২০১৫ সাল, তা এসব ভুয়া বিবৃতি প্রমাণ করেছে। ঢাকায় মোদি কা- ভারতের নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করায় বিএনপি-জামায়াত জোট উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল। ভাবনাটা এমন ছিল যে, ক্ষমতায় বসতে বিজেপির সহযোগিতা পাবে। কিন্তু তেমন সাড়া না এলেও হাল ছাড়েনি বিএনপি জোট। দু’দিনের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় এলে তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নানা তৎপরতা চালায় জোট। কোন পূর্ব কর্মসূচী না থাকার পরও শেষ পর্যন্ত মোদির সঙ্গে স্বল্পসময়ের সাক্ষাতের সুযোগ মেলে। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন বেগম জিয়া একান্ত সাক্ষাতকারে। দেশে নয়া নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য মোদির সহায়তা চান। কিন্তু মোদি জানতে চান ভারতের রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফরকালে কেন হরতাল ডেকেছিল বিএনপি, কেন জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে দলটি? নিরুত্তর খালেদা জিয়া ভগ্ন মনোরথে ফিরে এসেছিলেন। দেউলিয়াপনার এ-ও এক নজির বৈকি! জামায়াত থেকে জেএমবি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ না পাওয়ায় এবং দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর জামায়াত সশস্ত্র পন্থা বেছে নেয়। বিএনপি নামক দলটিতে নিজেদের মতাদর্শীদের অনুপ্রবেশ ঘটিয় তাকেও সশস্ত্র পথে টেনে নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে জেএমবি গড়ে তোলা হয় জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সমন্বয়ে। বিদায়ী বছরে শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা জঙ্গী সংগঠনের পতাকাতলে জড়ো হয়। নানা নামে তারা দেশজুড়ে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে। দলটির নবীন-প্রবীণদের মধ্যে মতভেদ বেড়েছে। নবীনরা যুদ্ধাপরাধীদের দলে রাখার পক্ষে নয়। কিন্তু ক্যাডাররা অপরাধীদেও পক্ষে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে জেএমবি সাইনবোর্ডে। বেফাঁস মন্তব্য ফাঁস যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বেফাঁস কথাবার্তা বলেছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যিনি পরিচিত। তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এমনকি বিভিন্ন আদালতে মামলাও হয়। বেশ কিছুদিন বিদেশে অবস্থান শেষে দেশে ফিরে আসেন তিনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় জেলে যেতে হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু তার মন্ত্রিত্ব অনেক আগেই চলে যাওয়ার মতো একপর্যায়ে সংসদ সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিতে হয়েছিল। অপহরণ নাটক ও পদত্যাগ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমদ নিখোঁজ, অপহরণ কাহিনী প্রচারের ক’মাস পরে ভারতে আবির্ভূত হন। এখনও সেখানে বিশাল বাড়িভাড়া করে বসবাস করছেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ চলাকালে আত্মগোপনে থাকা এক বাড়ি থেকে সালাউদ্দিন লা-পাত্তা হয়ে যান। তাকে র‌্যাব অপহরণ করেছে বলে দেশে-বিদেশে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু মাস কয়েক পর আবির্ভূত হন প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে। তার এই নাটকীয়তার এখনও শেষ হয়নি। জঙ্গী কানেকশন রয়েছে তার, এমন প্রচারও হয়েছে। বিশেষ করে উলফার সঙ্গে সংযোগ। বছরের শেষ দিকে এসে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী পদত্যাগ করেন দল থেকে। আর অবরোধকালে তিনি ছিলেন পর্দার আড়ালে। সে সময়ে দলের উপদলীয় গ্রুপের হাতে নির্যাতিতও হয়েছিলেন। তারপর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। অবশ্য এর অনেক আগে তারেক-শমসের টেলিফোন সংলাপ ইন্টারনেটে প্রচারের পর তা বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিদায়ী বছরে তিনজন যুদ্ধাপরাধীর দ-াদেশ কার্যকর হয় ফাঁসির মাধ্যমে। এ নিয়ে পুরো বছর রাজনীতি ঘুরপাক খেয়েছে। বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপির তত্ত্বাবধানে সারাদেশে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানো হয়। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য দেশে-বিদেশে নানা তৎপরতা চলে। বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো হয়। যার সঙ্গে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক রয়েছে। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরও সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়টি আরও বহুদিন বহাল থাকবে। বিচারের বিপক্ষ শক্তিরা নতুন বছরেও অপতৎপরতা চালাবে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপি নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন। যা সারাদেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। বিদায়ী বছরে রাজনৈতিক তৎপরতা তেমন ছিল না কোন পক্ষেই। বরং ত্রাস-সন্ত্রাস ছিল বছরের শুরু এবং শেষে।
×