ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অক্টোবরে ঢাকায় এএইচএফ কাপ হকি আসর

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অক্টোবরে ঢাকায় এএইচএফ কাপ   হকি আসর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ৫-১১ অক্টোবর ঢাকার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে নতুন স্থাপিত নীল টার্ফে গড়াবে ‘এএইচএফ কাপ বয়েস অনুর্ধ ১৮ হকি প্রতিযোগিতা।’ এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ অংশ নেবে কম্বোডিয়া, চায়না তাইপে, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান। চূড়ান্ত ফিক্সচার এফআইএইচ কর্তৃক অনুমোদন হয় গত ২৭ আগস্ট। ইতোমধ্যে দলগঠন ও অনুশীলনের জন্য বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) মৌখিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। ৫ অক্টোবর উদ্বোধনী দিনে প্রথম খেলায় মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কা ও কম্বোডিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে চায়না তাইপের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। ৬ অক্টোবর স্বাগতিক বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোকাবেলা করবে কম্বোডিয়াকে। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চায়না তাইপে, ৯ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা এবং ১০ অক্টোবর উজবেকিস্তান। হকি ফেডারেশন চাচ্ছে উদ্বোধনী দিনেই যেন বাংলাদেশের ম্যাচ থাকে। প্রথম পর্বে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দুটি দল চ্যাম্পিয়নের জন্য লড়বে ১১ অক্টোবর। একই দিনে তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দল দুটি লড়বে স্থান নির্ধারণীর জন্য। টুর্নামেন্ট নিয়ে হকি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এএইচএফ কাপ উপলক্ষে প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা বিকেএসপিতে বলেছি। সুবিধা হলো ওখানে তারা একসঙ্গে অনুশীলন করে। বোঝাপড়া চমৎকার। আমরা চাচ্ছি পুরো সেটটি যেন বিকেএসপির হয়। তারপরও পারফর্মেন্সের বিবেচনায় অন্য জায়গা থেকে তিন-চারজন বিকেএসপি দলের সঙ্গে যোগ হতে পারে। এই দলটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। কয়েকটি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের চিঠিও দিয়েছি। হাতে আরও কয়েকদিন সময় আছে। আশা করছি স্পন্সর পেয়ে যাব।’ বিকেএসপি প্রধান কোচ কাওসার আলী বলেন, ‘হকি ফেডারেশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে দল গঠনের জন্য। আমাদের কাজই বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করা। সে হিসেবে যদি বলি, তাহলে গত একমাস ধরেই ২২ জনকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছি। দলে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’ সাব-জুনিয়র দাবায় যুগ্মভাবে শীর্ষেই ফাহাদ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলমান জাতীয় সাব-জুনিয়র (অনুর্ধ-১৬) দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা শেষে অনতা চৌধুরী ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফিদেমাস্টার ফাহাদ রহমান সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে কিংশুক দাস, সুব্রত বিশ্বাস, নাইম হক এবং আকিব জাওয়াদ মিলিতভাবে দ্বিতীয় স্থানে। ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় অনতা ফাহাদের সঙ্গে ড্র করে। কিংশুক সরনোভাকে, নাইম জান্নাতুলকে ও আকিব অয়নকে হারায়। সুব্রত রাব্বির বিপক্ষে ওয়াকওভার পায়। কেনিয়ার এ্যাথলেটরা নিষেধাজ্ঞা শঙ্কায়! স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সম্প্রতিই চীনের রাজধানী বেজিংয়ে শেষ হয়েছে নয় দিনব্যাপী বিশ্ব এ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। উসাইন বোল্টের জ্যামাইকাকে পেছনে ফেলে এবারের আসরের সবচেয়ে সফল দেশ কেনিয়া। সাত সোনা ও ছয় রুপাসহ মোট ১৬ পদক জিতেছেন কেনিয়ান এ্যাথলেটরা। তবে কলঙ্কের দাগও এবার তাদের ভাগ্যে জুটেছে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে টুর্নামেন্টের প্রথম দিকেই কেনিয়ার দুই এ্যাথলেটকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে দ্রুতই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এ্যাথলেটদের ডোপ টেস্ট এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সংশয় রয়েছে কেনিয়ার আরও এ্যাথলেট ডোপিংয়ে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন বলে। এ বিষয়ে এ্যাথলেটিকস কেনিয়ার সভাপতি ইজাইয়াহ কিপলাগাট বলেন, ‘ড্রাগ টেস্টে ইতিবাচক হওয়ার পর কেনিয়া পদক তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে।’ এরপরই বলেন মূল কথা, ‘ডোপিংয়ে পজিটিভ হওয়া দুই প্রমীলা এ্যাথলেট তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। আমি সে বিষয়ে কোন কিছু মন্তব্য করতে চাই না। কেননা সবকিছুই তাদের রেকর্ড করা আছে। তাছাড়া ডোপিং তদন্ত এখনও চলছে।’ এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে চমক উপহার দিয়েছে কেনিয়া। আমেরিকা আর জ্যামাইকার মতো দেশকে টপকিয়ে পদক জয়ের তালিকায় শীর্ষ স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করে তারা। তবে বড় চমকটা আসে টুর্নামেন্টের শেষ দিনে। কেনিয়ার পর সাত সোনা ও দুটি রুপাসহ ১২ পদক জিতে দ্বিতীয় হয়েছে জ্যামাইকা। সমান ছয়টি করে সোনা,রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতে তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র। ১১ নম্বরে থাকা স্বাগতিক চীনের ঝুলিতে গেছে একটি সোনাসহ নয় পদক। বেজিংয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগেই তিনবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় কেনিয়ার এ্যাথলেটদের। কিন্তু প্রথমদিকে কোন এ্যাথলেটই ডোপিংয়ে ধরা পরেননি। তবে পরবর্তীতে দুই এ্যাথলেট নিষিদ্ধ হয়। যা কেনিয়ার জন্য কলঙ্কজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।
×