ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ সফর

অস্ট্রেলিয়া দলে নেই জনসন!

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অস্ট্রেলিয়া দলে নেই জনসন!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সফরে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে তারা। তবে এবার নতুন চেহারা নিয়েই আসছে অসিরা। আগেভাগেই নিশ্চিত ছিল অনেক পরিবর্তন আসবে তাদের টেস্ট দলে। কারণ অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অবসর নিয়েছেন। নতুন কা-ারি স্টিভেন স্মিথ। তার অধীনে এবার এ্যাশেজ ব্যর্থতার কারণে অনেক ক্রিকেটারই দল থেকে ছিটকে যাবেন। এবার দলের নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ পেসার মিচেল জনসনের খেলা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। ৩৩ বছর বয়সী এ পেসারকে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে। এছাড়া ২৪ বছর বয়সী তরুণ উদীয়মান গতি তারকা জশ হ্যাজলউডকেও বিশ্রাম দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। বাংলাদেশ সফরের পরই ঘরের মাটিতে ট্রান্স-তাসমান শত্রু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। সেই সিরিজে এ দুই পেসারকে পুরোপুরি ফিট এবং সতেজ রাখতেই এমন চিন্তা। গত চার বছরে একবারও ময়দানী লড়াই হয়নি অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের। এবার অবশ্য বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেই ম্যাচটিও হয়নি। সর্বশেষ ২০১১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে তিন ওয়ানডে খেলার পর আর বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই খেলা হয়নি অসিদের। আর টেস্ট খেলেছে সাড়ে ৯ বছর আগে। এর মধ্যে বদলেছে উভয় দলই। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ দলের মধ্যে। আগের চেয়ে অনেক শক্তিধর দলে পরিণত হয়েছে। আর ঘরের মাটিতে অদম্য টাইগারা। আর ২০১১ সালে সর্বশেষ যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছে অসিরা সেটাই ছিল অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্কের প্রথম মিশন। এরপর আর ক্লার্কবাহিনী টাইগারদের সামনে দাঁড়ায়নি। এবার ক্লার্ক নেই। অসিরা আসছে নতুন অধিনায়ক স্মিথের অধীনে। এটিই হবে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে স্মিথের প্রথম মিশন। তবে এই মিশনে আসার আগে অস্ট্রেলিয়া দলে আসছে অনেক পরিবর্তন। কারণটা সম্প্রতি ব্যর্থতা। এবার এ্যাশেজ সিরিজে দারুণ নাকানি-চুবানি খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। মর্যাদার এ সিরিজ খুঁইয়েছে ইংল্যান্ডের মাটিতে। সবচেয়ে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা। অসি ব্যাটসম্যানরা একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। যদিও একেবারে শেষ টেস্টে নিজেদের ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা এবং বিশাল জয় পেয়েছে। তবে ততদিনে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে। সেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও একেবারে ম্লান হয়ে যাওয়া অধিনায়ক ক্লার্ক অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এছাড়াও অনেকের ব্যর্থতার কারণে দল ঢেলে সাজানোর বিষয়টি ভালভাবেই চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আবার বাংলাদেশ সফরে খুব বেশি শক্তি খরচা করার চেয়ে বরং পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিকেও কিছুটা মনোযোগ রয়েছে তাদের। কারণ স্মিথের জন্য একটি যোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ দল গঠন করার পরিকল্পনা। এ কারণে অভিজ্ঞ পেসার জনসনকে বিশ্রামে রাখার চিন্তা করছে সিএ। কারণ বাংলাদেশ সফরে ২ টেস্ট খেলে ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ আছে। পরে আবারও নিউজিল্যান্ড সফরে আছে ২ টেস্ট। জনসনের ওপর চাপ কমাতে চাইছে সিএ। তাকে জিইয়ে রেখে টানা তিন সিরিজের জন্য পুরোপুরি ফুরফুরে ও সতেজ রাখাটাই উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে এবার এ্যাশেজে ৪ টেস্ট খেলা ২৪ বছর বয়সী পেসার হ্যাজলউড দারুণ বোলিং করেছেন। শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। এ্যাশেজের শেষ টেস্টে এ তরুণ পেসারকে বিশ্রাম দেয় অস্ট্রেলিয়া। তাকেও দেশের মাটিতে টানা সিরিজে পূর্ণ ছন্দ ও উদ্যমে রাখতে বিশ্রাম দেয়া হয়। এ বিষয়ে সিএ মহাব্যবস্থাপক প্যাট হাওয়ার্ড বলেন, ‘ফাস্ট বোলারদের পরিচর্যা সুবিধার জন্য আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রেই নয় বরং আসন্ন টানা ১০ টেস্টের জন্য। আর সেটাই হবে এবার আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। মিচেল এবং জশ এ দু’জনকে অনেক কাজের চাপ নিতে হয়। সে কারণে তাদের নিয়মিত পেতে হলে খুব সতর্কভাবে পরিচর্যা করা জরুরী। যদি তাদের কাছ থেকে আমরা পুরোপুরি সেরা নৈপুণ্যটা পেতে চাই সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুসারে তাদের ব্যবহার করতে হবে।
×