ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিরতি

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে। চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারদিন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টিকেট দেয়া হবে। আর ফিরতি টিকেট ২৩ সেপ্টেম্বর বিক্রি শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ঈদের সময় প্রতিদিন আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেলভবনে রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এ তথ্য জানান। তবে প্রতি বারের মতো এবারও ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেনযাত্রা ঠেকানোর বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেল। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে রেলভবনে অগ্রিম টিকেট বিক্রি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা অংশ নেন। সভাশেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বিক্রি হবে ২০ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ১৬ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২১ সেপ্টেম্বরের, ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ সেপ্টেম্বরের, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ সেপ্টেম্বরের, ১৯ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৪ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকেট। তবে টিকেট সংগ্রহে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে আরও বুথ বাড়ানো হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতি বছরের মতো এবারও অনলাইনে ২৫ ভাগ টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে। ৫ ভাগ থাকছে রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য। আরো পাঁচ ভাগ বরাদ্দ সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য। এর বাইরে ৬৫ ভাগ টিকেট কাউন্টার থেকে সরাসরি বিক্রি হবে। একইভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া যাবে ফিরতি টিকেট। এদিন বিক্রি হবে ২৭ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ২৪ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের, ২৫ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৯ সেপ্টেম্বরের, ২৬ সেপ্টেম্বর ৩০ সেপ্টেম্বরের টিকেট এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ১ অক্টোবরের টিকেট। মন্ত্রী জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকেট কিনতে পারবেন। ঈদের সময় বিক্রির টিকেট ফেরত দেয়া হবে না বলে মন্ত্রী জানান। মুজিবুল হক বলেন, বর্তমানে রেলের মোট ৮৮৬টি কোচ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ১৩৮টি কোচ ঈদের আগেই ট্রেনের বহরে যুক্ত হবে। তিনি জানান, ১৯৯টি ইঞ্জিন চালু রয়েছে; ঈদ সামনে রেখে মেরামতকৃত আরও ২৫টি বহরে যুক্ত হবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন সারাদেশে এক লাখ ৮০ হাজার টিকেট ইস্যু করা হয়। ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত চাপ মোকাবেলায় প্রতিদিন সব ট্রেন মিলিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টিকেট বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনগুলো ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ঈদের আগে তিন দিন এবং ঈদের পরে সাতদিন চলবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া রুটে ঈদের দিন দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে তারা সতর্ক রয়েছেন। এবারও ঈদে ট্রেন চলাচল নির্বিঘœ করতে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়াও রেলওয়ের দুটি নিরাপত্তা বাহিনী যাত্রীদের নিরাপত্তায় সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। যেখানেই যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা দেখা যাবে সেখানেই যাত্রীদের নিরাপত্তায় সক্রিয় হবে এসব নিরাপত্তা বাহিনী। গেল ঈদ-উল-ফেতরের সময় অন্য বারের চেয়ে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সিডিউল মোটামুটি ঠিক ছিল। তবে যেসব লাইনে আকস্মিক রেল দুর্ঘটনার হয় তখন সে এলাকার ট্রেনগুলো সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পরে। ঈদ-উল-ফিতরের দুই দিন আগে থেকে কয়েকটি ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যের কিছু পরে ছেড়ে যায়। তবে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কোন অবস্থাতেই ছাদে, ইঞ্জিনে, বাম্পারে ঝুলে যাত্রী পরিবহন করতে দেয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে অটল থাকতে পারেনি রেল বিভাগ। খোদ কমলাপুর থেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন যাত্রা করতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষদের।
×