ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বদেশ রায়

মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবা ॥ দরজা বন্ধ করে নয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবা ॥ দরজা বন্ধ করে নয়

২০৪০ সালের ভেতর বাংলাদেশ উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে। একটি উন্নত অর্থনীতির সব থেকে বড় ভিত্তি তার মানবসম্পদ সব দিক থেকে কতটা উন্নত। মানবসম্পদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আশ্রয়সহ সকল প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে উন্নত দেশের সূচকে প্রবেশ করা উচিত। এছাড়া শুধু দেশের গড় আয় বাড়িয়ে উন্নত দেশের সূচকে পৌঁছালে ওই দেশের নাগরিকরা উন্নত অর্থনীতির সকল সুবিধা ভোগ করে না। শেখ হাসিনা মডেল বা হাসিনাকোনমিকসে বাংলাদেশ যে পথে এগুচ্ছে এ ধারায় কোন বাধা না পড়লে বাংলাদেশ উন্নত মানবসম্পদের ভিত্তি নিয়েই উন্নত অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে। কারণ, খুব সহজ ভাষায় বলা যায়, শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ও সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের মিশ্রণ ঘটিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে দেশ ২০৪০-এ সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সর্বনিম্ন সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সঙ্গে নিয়ে উন্নত অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে। দেশের সকল মানুষকে কর্মসক্ষম ও উৎপাদনের অংশ করতে হলে, মানুষের দক্ষতার সঙ্গে আরও বড় একটি দিক হলো স্বাস্থ্য। কোন জাতির বা দেশের মানব গোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্য’র নিশ্চয়তা তৈরি করতে হলে কতকগুলো বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে এগোনো উচিত। এক. পরিপুষ্ট শিশুর জন্ম ও তাদের নীরোগ অবস্থায় বেড়ে ওঠা। দুই. তারুণ্যে এবং যৌবনে সুস্থ থাকা এবং যৌবন যাতে দীর্ঘ হয় তা নিশ্চিত করা। তিন. দেশের নারীদের স্বাস্থ্য যেন অবশ্যই উন্নত হয়। এছাড়া সর্বোচ্চসংখ্যক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখা। কোন দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠী যদি দ্রুত কর্মসক্ষমতা হারিয়ে ফেলে আর তাদের সংখ্যা যদি বাড়তে থাকে- যে কোন দেশের জন্য এ বোঝা খুবই ভারি। দেশটি যদি বাংলাদেশের মতো আয়তনে ছোট এবং জনঘনত্বপূর্ণ হয় তাহলে আরও বেশি বিপজ্জনক। বাংলাদেশ ২০৪০-এ যখন উন্নত অর্থনীতির দেশে প্রবেশ করবে, তখন বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর বয়স ষাট পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ একটি বড়সংখ্যক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশে প্রবেশ করতে হবে। উন্নত অর্থনীতিতে প্রবেশের আগে দেশের মানবসম্পদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে এখন থেকেই। এখন থেকে দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য এবং বয়স্করা যাতে কর্মসক্ষম থাকেন সেভাবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দেশের সকল স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা পাবলিক খাতে থাকবে এ চিন্তা করা ভুল। সম্ভবও নয়। বরং ধীরে ধীরে সরকারী হাসপাতাল বাড়িয়ে, পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য খাতে যে পরিমাপের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার শেখ হাসিনা বজায় রেখেছেন ও যে হারে বাড়াচ্ছেন তা অনেক। মুক্তবাজার অর্থনীতির পথে উন্নত অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে হলে প্রাইভেট খাতে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এ অর্থনীতির এই নিয়ম। এ পথেই এগুতে হবে। উন্নত অর্থনীতিতে প্রবেশের আগে দেশের স্বাস্থ্যের জন্য যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে- শিশু, নারীর স্বাস্থ্য এবং অন্যদিকে সুস্থতার মাধ্যমে যৌবনের ও বয়স্কের কর্মসক্ষমতার স্পেস বাড়ানো- এর বড় অংশের দায় প্রাইভেট খাতকে নিতে হবে। এ মুহূর্তে মনে হতে পারে, প্রাইভেট খাতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা গেলে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। বিষয়টি কিন্তু বাস্তবে তা নয়। সরকারের সুষ্ঠু নীতি ও ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে যদি সেগুলো পরিচালিত হয় তাহলে এ ব্যয় কখনই মানুষের সাধ্যের বাইরে যাবে না। তাছাড়া এও মনে রাখা দরকার, উন্নত অর্থনীতিতে দেশ প্রবেশ করবে দেশের প্রায় সকলের কর্মসংস্থানকে সঙ্গে নিয়ে। তাই তখন মানুষের আয়ও বেড়ে যাবে। তাই প্রাইভেট খাতে ভাল মেডিক্যাল শিক্ষা হচ্ছে না বা হবে না, অন্যদিকে প্রাইভেট খাতে স্বাস্থ্য সেবার ব্যয় বেশি এমনি সব চিন্তা থেকে যদি প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবা বন্ধ বা সঙ্কুচিত করা হয় তা হবে ভুল পদক্ষেপ। দেশের অর্থনীতি সমাজতান্ত্রিক নয়, তাই ২০৪০-এর মধ্যে সকল মেডিক্যাল সেবা ও শিক্ষা জাতীয়করণ হয়ে দেশের প্রয়োজন মেটাবে এমন আকাশকুসুম কল্পনা করার কোন সুযোগ নেই। বরং বাস্তবতা হলো, কিভাবে এই প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবাকে পাবলিক মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবার সমান তালে বা আরও জোর তালে এগিয়ে নেয়া যায়। সম্প্রতি ডাক্তার মহল থেকে আগে কথাটি উঠেছিল, এখন রাজনীতিক বা দেশের নীতিনির্ধারকরাও বলছেন, প্রাইভেট খাতে আর মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। কারণ, ব্যাঙের ছাতার মতো মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে মানুষ বাঁচানোর বদলে মানুষ মারার ডাক্তার তৈরি হচ্ছে। এ কথা শতভাগ ভুল তা নয়। কিন্তু ভাল মেডিক্যাল শিক্ষা হচ্ছে না বলে কি প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা বন্ধ করে দিতে হবে? প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে কি ২০৪০ সালে দেশ যখন উন্নত দেশের তালিকায় যাবে তার আগে দেশে প্রয়োজনীয় ডাক্তার তৈরি করতে পারবে? পারবে না। প্রয়োজনীয় ডাক্তারও যেমন তৈরি করতে পারবে না তেমনি এ অবস্থায় প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা চললে ভাল ডাক্তারও হবে না। তাই নতুন প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বন্ধ করাও যেমন সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, তেমনি যেভাবে প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা চলছে এভাবে চলাও উচিত নয়। এ কারণে দেশকে উন্নত দেশের সারিতে ২০৪০-এ নিয়ে যেতে হলে দেশে উন্নত প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। নতুন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়- এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে কিভাবে ভাল প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া যায় সেকথা ভাবতে হবে। সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে চিন্তা করতে হবে, ঢাকায় নয়- ঢাকার বাইরে বড় বড় প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যারা গড়ে তুলতে চান তাদের সুযোগ দিতে হবে। সেখানে যাতে বিদেশী বিনিয়োগ আসে সে পথও উন্মোচন করতে হবে। আর উন্নত শিক্ষার জন্য সকল বাধাকে উপেক্ষা করে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ সিদ্ধান্ত কেবল শেখ হাসিনাই নিতে পারবেন। কারণ, তিনিই জানেন কীভাবে কোন গোষ্ঠী স্বার্থ, ব্যক্তি স্বার্থের কাছে আপোস না করে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। এ সিদ্ধান্ত হলো, প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে বিশেষ মানের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক রাখা বাধ্যতামূলক করে দেয়া। সেক্ষেত্রে যদি বিদেশী শিক্ষকও আনতে হয়, তাহলে সে অনুমোদনও দিতে হবে। ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখে দেশকে কখনও পৃথিবীর আঙ্গিনায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। বরং দরজাকে আরও প্রশস্ত করলে দেশ দ্রুত বিশ্ব আঙ্গিনায় পৌঁছাবে। তাই সকল গোষ্ঠী স্বার্থ উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত প্রায় এক সপ্তাহজুড়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একটি লেখা ছাপা হয়েছে জনকণ্ঠে। তরুণ প্রজন্মের জন্য লেখাটি পড়া জরুরী। তারা জানতে পারবেন, কিভাবে বিদেশী বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে পরিণত করেছিলেন। তাই দেশে উন্নত মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য এ দুয়ার খুলতে হবে। মনে রাখতে হবে একজন গাস্টই কিন্তু বাংলাদেশের পঙ্গু হাসপাতালের জনক। তাই বিদেশী বিশেষজ্ঞ শিক্ষক যদি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক হয়ে এ দেশে আসেন তাহলে দেশে কোনমতেই মানুষ মারা ডাক্তার হবে না। স্বাস্থ্য বিষয়টি অনেক বড়, আর কতটা প্রয়োজনীয় তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ লেখায় উল্লেখ না করলেও সকলে জানেন। তাই স্বাস্থ্য বা মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য যদি আলাদা মন্ত্রণালয় করার প্রয়োজন হয় তা করতে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা যেমন জরুরী, মেডিক্যাল শিক্ষাও তার থেকে দেশের জন্য কম জরুরী নয়। তাই প্রয়োজনে আলাদ মেডিক্যাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় করা যেতে পারে। ক্ষমতার এ ধরনের বিকেন্দ্রীকরণ সব সময়ই সুফল দেয়। অন্যদিকে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা ও সেবাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে দেশ যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হয় সেদিকও দেখতে হবে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশ মেডিক্যাল ট্যুরিজমের ওপর তাদের অর্থনীতির একটি বড় অংশ দাঁড় করিয়েছে। তাদের এই সুযোগের অন্যতম কারণ উন্নত দেশগুলোতে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এরা কম খরচে দিতে পারে। বাংলাদেশও দরজা খুলে দিয়ে এ চেষ্টা করলে ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বাড়তি সুযোগ আসছে যা কানেকটিভিটির ফল। বাংলাদেশের অন্যতম নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমার ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য। এই সাতটি রাজ্য ও মিয়ানমার ওইভাবে চিকিৎসা সেবায় উন্নত নয়। ভারতের ওই সাতটি রাজ্য থেকে প্রচুর রোগীকে অনেক সাধারণ রোগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য বড় শহরে যেতে হয়। ওই সাতটি রাজ্যের নাগরিকদের জন্য যা খুবই কষ্টের, ঝামেলার ও ব্যয়বহুল। তাই মিয়ানমার ও ভারতের সাত রাজ্যের রোগীদেরকে মাথায় রেখে যদি তাদের নিকট-সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ বড় বড় প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে তা লাভজনক হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেডিক্যাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে বিদেশী অর্থ দেশে আনতে পারবে। তাই কানেকটিভিটি পূর্ণ রূপ পাবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ যেন এই সুযোগ নিতে পারে এ লক্ষ্যে কাজটি এখন থেকে শুরু করতে হবে। অর্থনীতিতে বাজারের সুযোগটি যে প্রথমে নেয় সেই কিন্তু বেশি মুনাফা নিয়ে আসতে পারে। এই সহজ নিয়মটি এখানেও মনে রাখা দরকার। অবশ্য এর সঙ্গে সঙ্গে একটি সমস্যা দেখা দেবে। বাস্তবে যা সমস্যা নয়। প্রথমে সমস্যা বলে মনে হতে পারে। তা হলো সরকারী মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হারাবে। কারণ, তারা তখন অনেক বেশি বেতনে প্রাইভেট মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে চলে যাবেন। এখনও অনেকে সার্বক্ষণিক ও খ-কালীন হিসেবে যাচ্ছেন। এখানেও বাংলাদেশ যে উন্নত দেশ হতে চলেছে এ বিষয়টি মাথায় রাখলে আর কোন অসুবিধা হবার কথা নয়। অর্থাৎ উন্নত দেশের শিক্ষকদের ও সরকারী ডাক্তারদের মতো বাংলাদেশের সরকারী শিক্ষক ও ডাক্তাররা যাতে ভালো বেতন পান সে ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক্তারদের শিক্ষা বিশেষায়িত তাই তাদের বেতন কাঠামো অবশ্যই স্বতন্ত্র হতে হবে। সাধারণের সঙ্গে তাদের মেলালে চলবে না। তাছাড়া যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভালো বেতন না হওয়া অবধি শিক্ষার মান বাড়বে না। একই বেতন কাঠামোতে সব সরকারী পেশাকে ঢোকানোর চিন্তা সঠিক নয়। এ বিষয়টিও ভাবতে হবে। সর্বোপরি এ সত্য মানতে হবে- দরজা বন্ধ করে অচলায়তন সৃষ্টি নয়, দরজা খুলে দিয়ে বিশ্ব আঙ্গিনায় যেতে হবে। [email protected]
×