ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুরো স্থাপনাই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে

বেল মন্দির ধ্বংসের স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ জাতিসংঘের

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বেল মন্দির ধ্বংসের স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ জাতিসংঘের

সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহর পালমিরার আরেকটি প্রাচীন মন্দির বেল ইসলামী স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের বিস্ফোরণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ওই মন্দিরের একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করে মঙ্গলবার জাতিংঘের ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং এ্যান্ড রিসার্চ (অপারেশনাল স্যাটেলাইট এ্যাপ্লিকেশনস প্রোগ্রামস) বলেছে, ওই স্থাপনার প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। খবর বিবিসির। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বে মরুভূমির মধ্যে এই মন্দিরের অবস্থান ছিল। যথাযথভাবে সংরক্ষিত গ্রীক রোমান ধ্বংসাবশেষের জন্য বিখ্যাত পালমিরাকে গত মে মাসে সরকারী বাহিনীর কাছ থেকে দখল করে নেয়া হলে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, আইএস জঙ্গীরা সিরিয়া ও ইরাকের অন্য অংশের মতো এর অমূল্য ঐতিহ্যগুলো ধ্বংস করে দেবে। সিরিয়া কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বলেছিল, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মন্দিরের মূল কাঠামো অটুট আছে। তবে মঙ্গলবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করার পর ইউএনওএসএটির ব্যবস্থাপক এইনার বোর্গো বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যে ছবি আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের মূল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ভবন সংলগ্ন পাথরের স্তম্ভের সারিও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের ওই স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, মন্দিরের প্রায় পুরোটাই মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং আর কোন স্থাপনা অটুট নেই। তবে পালমিরার মন্দিরগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখন পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে নিরূপণ সম্ভব হয়নি। পালিমিরেনি দেবতাদের উপাসনার জন্য নির্মিত বেল মন্দির ছিল এই প্রতœস্থাপনের সবচেয়ে ভালভাবে রক্ষিত স্থাপনাগুলোর একটি। আইএস জঙ্গীরা গত মাসেই দুই হাজার বছরের পুরনো পালমিরার দুটি মন্দির ধ্বংস করল। এর আগে ২৫ আগস্ট শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বালশামিন মন্দির ধ্বংস করে তারা। সিরিয়ার সাবেক সংস্কৃতি উপমন্ত্রী প্রতœতত্ত্ববিদ আব্দাল রাজ্জাক মোয়াজ বলেছেন, এই মন্দির ধ্বংস হওয়া পুরো বিশ্বের জন্যই একটি বড় ক্ষতি।
×