ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

ইসতিয়াকের ‘বিষাদময় নগর জীবন’ শুক্রবার থেকে আলিয়ঁসে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ইসতিয়াকের ‘বিষাদময় নগর জীবন’ শুক্রবার থেকে আলিয়ঁসে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরুণ চিত্রশিল্পী সুলতান ইসতিয়াক। যান্ত্রিক শহর ঢাকার নগর জীবনকে মেলে ধরেছেন আপন ক্যানভাসে। রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন শহুরে জীবনের রূঢ় বাস্তবতা। আর সে বাস্তবতায় চিত্রপটে উদ্ভাসিত হয়েছে রাজধানীর জরাজীর্ণ ভাঙ্গা বাড়ি, ঢাকা মহানগরীর যানজট, ভবন ধসে বিপর্যস্ত মানবতা, ঐতিহ্যবাহী পুরনো দালানকোঠা, বুড়িগঙ্গা তীরের বিশালায়তন দানবীয় জাহাজ, সেখানকার শ্রমিক, তাদের দৈনন্দিন জীবন, রঙিন বাতি জ্বালিয়ে অপেক্ষমান মাঝি, খেটে খাওয়া মানুষ ও তাদের জীবনসহ নানা বিষয়। আর এমন সব ছবি নিয়ে আগামী শুক্রবার থেকে ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে শুরু হচ্ছে এই শিল্পীর প্রদর্শনী। শিরোনাম দ্য মেলাঙ্কলি অব আরবান লাইফ বা বিষাদময় নগর জীবন। আলিয়ঁসের প্রোগ্রাম অফিসার মামুন অর রশিদ জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালী উর রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ান-ইয়ং। সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে থাকবেন চিত্রসমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস। প্রদর্শনী প্রসঙ্গে সুলতান ইসতিয়াক বলেন, জন্ম থেকেই বাস করছি যান্ত্রিক শহর ঢাকায়। ফলে এ শহর ও তার আশপাশের অঞ্চলের মানুষ, তাদের জীবনযাত্রা, শহরের বিভিন্ন স্থান, ঢাকার যানজট, অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থা, শব্দ, রং ইত্যাদি আমাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর সে অভিজ্ঞতাই রং ও রেখার আশ্রয়ে প্রকাশ করেছি এই প্রদর্শনীর ছবিতে। জলরং ও তেলরং মাধ্যমে চিত্রিত ৩৫টি চিত্রকর্ম উপস্থাপিত হবে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সোম থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময়বৃদ্ধি ॥ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করে বাংলা একাডেমির। এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হয় দুই সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। দর্শকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীর সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রদর্শনীটি চলছে একাডেমির ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনের ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষে। ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিল্পকলার নাট্যশালায় মঞ্চস্থ তিন নাটক ॥ সোমবার বৃষ্টিভেজা শরৎ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিন হলে মঞ্চস্থ হলো তিনটি নাটক। মূল হলে মঞ্চস্থ হলে ভিশন থিয়েটারের নাটক গালিভারের সফর। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয় দেশ নাটকের প্রযোজনা অরক্ষিতা। আর স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় তীরন্দাজ নাট্যদলের নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য। ক্ষমতা কখনই কারও হাতে চিরস্থায়ী থাকে না। ক্ষমতার ধর্মই হচ্ছে পাত্র পরিবর্তন করা। তবু ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায় মানুষ। আর তাই নিয়ে সৃষ্টি হয় নানামুখী দ্বন্দ্ব ও সঙ্কট। এই সত্যকে উপজীব্য করে আবর্তিত হয়েছে দেশ নাটকের নাটক অরক্ষিতার কাহিনী। পৌরাণিক গল্পে ছাঁচে গড়া নাটকটি লিখেছেন মাহবুব লীলেন। নির্দেশনা দিয়েছেন ইশরাত নিশাত। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহিম মালেক, মোতাহারুল ইসলাম, অসীম কুমার, মামুন চৌধুরী, অনন্ত কুমার, আশরাফুল আশিস, শাহানা শিশির, সুস্মিতা সাহা, রাশেদা রাখি, তিথি জামান, শাহানা শিশির, ফিরোজ আলম, ফাহিম মালেক, পার্থ সুমন, সৌরভ ফাসরী, চৌধুরী শুভ, পার্থ সুমন অনুপম রায় প্রমুখ। ভিশন থিয়েটারের নবম প্রযোজনা গালিভারের সফর। আবুল মনসুর আহমদের গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার। নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত। জনাথন সুইফটের ‘গালিভর ট্রাভেলস’ বইটির মর্মার্থ নিয়ে আবুল মনসুর আহমদ রচনা করেন ব্যঙ্গাত্মক গল্প ‘গালিভারের সফর’। গালিভারের সফর নাটকটিতে শিক্ষা সচেতনতা এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে নিজস্ব গোঁড়ামি অন্ধত্বকে উপজীব্য করে নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তীরন্দাজ নাট্যদলের তৃতীয় প্রযোজনা কণ্ঠনালীতে সূর্য। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রাজীব দে। কাব্যময় নাটকটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এক আগন্তুককে ঘিরে। আগন্তুক এক চিকিৎসালয়ে এসে বলেন, তার কণ্ঠনালীতে সূর্য আটকে গেছে। বহুকাল ধরে তিনি তা বহন করছেন। তিনি তা বের করতে চান বা চিরকালের জন্য হৃদপি-ে রেখে দিতে চান। তার এমন অদ্ভুত দাবিতে নানা বিদ্রƒপ করতে থাকেন চিকিৎসালয়ে আসা মিলি ও সমীর। তাতে দমে না গিয়ে আগন্তুকও কণ্ঠনালীতে আটকে থাকা সূর্যের একটা ফয়সালা করতে চান। নাটকে আগন্তুক চরিত্রে দীপক সুমন, মিলি চরিত্রে মিতালী দাস, চিকিৎসকের চরিত্রে কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, সমীর চরিত্রে রূপ দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
×