স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছা উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে আটক দুই আসামি। রবিবার সিনিয়র জুুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইব্রাহিম তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। জবানবন্দীতে তারা উল্লেখ করেছে, সুদের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হুমায়ুনকে হত্যা করা হয়। এতে জড়িত ৮-১০ জন। তবে গ্রামের একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন কবিরের টাকা-পয়সা লুটে নেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল তাকে হত্যার ইন্ধন দেয়।
আটক আসামিরা হলো পাঁচপোতা গ্রামের মোশারেফ মোড়লের ছেলে বজলুর রহমান টিটু ও ইবাদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদের। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে হুমায়ুনদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে হুমায়ুনের চাচা বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আসামিরা হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে হুমায়ুন কবির পাঁচপোতা বাজারে যায়। পরদিন গভীর রাতে পাঁচপোতা সড়কের নিয়ামত আলীর কলাবাগান থেকে হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আওরঙ্গজেব ১৩ জনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। গত ২০ মে এজাহারনামীয় ১২ আসামি আদলতে আত্মসমর্পণ করে।
তারা আদালতকে জানিয়েছে, হুমায়ুন সুদের ব্যবসা করত। সময়মতো সুদের টাকা না দিলে সে গালিগালাজ এমনকি মারপিট করত। এর জের ধরে হুমায়ুনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর সুদের টাকা নিতে তাকে পাঁচপোতা হাটে আসতে বলা হয়। হুমায়ুন হাটে আসলে জাহাঙ্গীরের কাছে টাকা আছে বলে মাঠের মধ্যে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর কলা বাগানে লাশ ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বিচারক টিটু ও কাদেরসহ আটক পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুন্দিপুর গ্রামের একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন কবির সুদের কারবার করে অনেক টাকার মালিক হয়। সেই টাকা পয়সাগুলো নিজেদের হেফাজতে নিতে তার ঘনিষ্টজনরা এই হত্যাকা- ঘটায়। যারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: