ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চেলসিতে ফ্যালকাও

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৫ জুলাই ২০১৫

চেলসিতে ফ্যালকাও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে বাতাসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। আগামী এক মৌসুমের জন্য মোনাকো থেকে চেলসিতে যোগ দিলেন রাদামেল ফ্যালকাও। শুক্রবার চেলসির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৩ সালে লীগ ওয়ানের ক্লাব মোনাকোতে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ফ্যালকাও। নতুন চুক্তি অনুযায়ী স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আসন্ন মৌসুমের পুরোটা সময়ই কাটাবেন এই কলম্বিয়ান। এই চুক্তির অংশ হিসেবে গত মৌসুমে এলচেতে ধারে কাটানো ২০ বছর বয়সী তরুণ মারিও পাসালিচকে মোনাকোতে ছেড়ে দিয়েছে চেলসি। এক বছরের জন্য এই ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ধারে খেলবেন মোনাকোতে। এ বিষয়ে ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফ্যালকাও বলেন, ‘চেলসিতে যোগ দিতে পেরে আমি দারুণ খুশি। তাদের সঙ্গে অনুশীলনের আর তর সইছে না। আমার লক্ষ্য হচ্ছে চেলসির হয়ে লীগ শিরোপা ধরে রাখা এবং ইউরোপে সফল হওয়া।’ মোনাকোর হয়ে প্রথম মৌসুমে ১৭ ম্যাচে ৯ গোল করেছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। কিন্তু হাঁটুর গুরুতর ইনজুরির কারণে তিনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। এছাড়া গত বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এক বছরের জন্য ধারে যোগ দিলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ইউনাইটেডের জার্সিতে ২৯ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে মাত্র চারবার বল জড়িয়েছেন তিনি। এর আগে মোনাকোতে যাবার আগে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে দুই মৌসুমে ৭০ গোল করে নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ফ্যালকাও। ২০১২ সালের সুপার কাপে চেলসির বিপক্ষে তিনি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন। এবার সেই ক্লাবের জার্সিতেই নিজেকে নতুন করে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিলেন ফ্যালকাও। এদিকে এমএলএস কাপ চ্যাম্পিয়ন লস এঞ্জেলস গ্যালাক্সিতে যোগ লিভারপুলের সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড বললেন তিনি ইউরোপে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাল্য বয়সের ক্লাব লিভারপুলে ২৬ বছর কাটিয়ে দেয়া এই ফুটবলার তার ক্যারিয়ারের শেষ সময়ের জন্য তরী ভিড়িয়েছেন গ্যালাক্সিতে। আগামী ১৭ জুলাই স্যান জোসে আর্থকোয়াকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন ক্লাবে অভিষেক ঘটবে তার। এর আগেই জানালেন ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলার প্রস্তাবের কথা। গ্যালাক্সি টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব থেকে আমি একাধিকবার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। এদের মধ্যে কিছু কিছু প্রস্তাব ছিল বেশ লোভনীয়। কিন্তু আমি চেয়েছি নিজের স্বাভাবিক জোন থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে। নিজের ঘর থেকে দূরে থেকে ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। সেইসঙ্গে চেয়েছি আমার পরিবারের বসবাসের জন্য এমন একটি জায়গা যেখানে তারা সত্যিই উপভোগ করবে। আগামী কয়েক বছর পর আমি যখন ফুটবল থেকে অবসর নেব, তখন আমি বলব আমি একই জায়াগায় থাকিনি। আমি ভিন্নতা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
×