ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাদপুরে ব্যাটারি রিক্সার দাপটে বাড়ছে যানজট

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৪ জুলাই ২০১৫

শাহজাদপুরে ব্যাটারি  রিক্সার দাপটে  বাড়ছে যানজট

সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ৩ জুলাই ॥ যখন সারা দেশে ব্যাটারিচালিত ভ্যান-রিক্সা বন্ধের দাবিতে মিটিং-মিছিল, সমাবেশ হচ্ছে, এমনকি কোথাও কোথাও প্রশাসনের উদ্যোগে এই জাতীয় রিচার্জেবল ব্যাটারিচালিত যানবাহন চালকদের জরিমানাও করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এসব যন্ত্র চালিত বাহন ঠিক সে রকম একটি সময়ে শাহজাদপুরে দেখা যাচ্ছে এর বিপরীত চিত্র। জানা গেছে, কেবলমাত্র শাহজাদপুর পৌর সদরেই চলছে প্রায় ২ হাজার ব্যাটারিচালিত ভ্যান-রিক্সা। যন্ত্র চালিত ভ্যান-রিক্সার দাপটে দিনকে দিন প্রায় অদৃশ্যই হয়ে যাচ্ছে প্যাডেল চালিত ভ্যান-রিক্সা। ব্যাটারিচালিত একটি রিক্সা-ভ্যান তৈরিতে খরচ পড়ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, যে হারে প্রতিদিন রিক্সা-ভ্যান তৈরি হচ্ছে তাতে করে এ বছরের শেষ দিকেই এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮ থেকে ১০ হাজার। প্যাডেলচালিত রিক্সা-ভ্যান মালিকরা বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তৈরি করছে এই দ্রুতগামী বাহন। ভ্যান-রিক্সা চালকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নতুন একটি ভ্যান-রিক্সা পথে নামাতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা গুণে দিতে হচ্ছে রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে। এই সব যন্ত্রচালিত রিক্সা-ভ্যানের কারণে প্রতিদিন পৌর সদরের সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট। যন্ত্র চালিত রিক্সা-ভ্যানের বেপরোয়া গতি ও চালকদের অদক্ষতার কারণে নিত্যদিনই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রী সাধারণকে। অন্যদিকে, এই সব যন্ত্র চালিত রিক্সা-ভ্যানে ১২ থেকে ১৬ ভোল্টের ৪ থেকে ৬টি করে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। পৌর সদরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গড়ে উঠেছে রিক্সা-ভ্যান চার্জ দেয়ার গোপন গ্যারেজ। এসব গ্যারেজেই চার্জ দেয়া হচ্ছে ভ্যান প্রতি ৩০ টাকার বিনিময়ে। আবাসিক মিটার থেকে এসব বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক গোপন গ্যারেজ মালিক জানান, সব খরচ বাদ দিয়ে রিচার্জের বিনিময়ে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিটি গোপন গ্যারেজ মালিকের এই আয়ের একটি অংশ চলে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই সব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে। এসব কারণে লোড শেডিংয়ের কবলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পৌর এলাকার সাধারণ গ্রহকরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষাপটে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।
×