ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ ছয় সংস্থার ‘কর্মসংস্থান চুক্তি’ সই

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২ জুলাই ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ ছয় সংস্থার ‘কর্মসংস্থান চুক্তি’ সই

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে এর অধীনস্থ ছয়টি সংস্থা বুধবার পরপর দ্বিতীয় বছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছে। বছরব্যাপী ফলদায়ী কর্মকা- সম্পন্নে এসব সংস্থাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ চুক্তি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং অধীনস্থ মোট ছয় সংস্থার প্রধানদের মধ্যে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিভুক্ত সংস্থাগুলো হচ্ছে- বিনিয়োগ বোর্ড, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), এনজিওবিষয়ক ব্যুরো, সরকারীÑবেসরকারী অংশীদারিত্ব কার্যালয় (পিপিপিও) এবং আশ্রয় প্রকল্প। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অধীনস্থ বিগত বছরে পাঁচ সংস্থার কর্মকা-ের ফলাফলের উল্লেখ করে বলেন, এই চুক্তি নিশ্চিতভাবে সংস্থাগুলোর ভাল কাজ সম্পাদনের গতি ত্বরান্বিত করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ কর্মসম্পাদন চুক্তি জনপ্রত্যাশানুযায়ী আরও কার্যকরভাবে জনসেবা দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে গতিশীলতা আনবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তৃতা দেন। এতে গত বছর কর্মসংস্থান চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে অর্জিত সাফল্য উপস্থাপন করেন গবর্নমেন্ট ইনোভেশন ইউনিটের প্রধান আবদুল হালিম। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. গওহর রিজভী ও ড. মশিউর রহমান এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এসএ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকে মিলেমিশে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, কেবল নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না, মানুষের জন্য চিন্তা করতে হবে। দেশের মানুষ ভালভাবে বাঁচতে পারলে সবার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করার জন্য ক্ষমতায় আসেনি একথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে তার দল ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী ও ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী জনসেবামূলক কর্মকা- সম্পাদনে আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার উর্ধে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এবং অনেক সরকারী ও বেসরকারী খাতের অভিজ্ঞতা নিয়ে গত বছর অধীনস্থ সংস্তাগুলোর বার্ষিক কর্মদক্ষতা বাড়াতে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের রূপরেখা প্রণয়ন করে। এর আলোকে গত অর্থবছর সরকার ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে এর অধীনস্থ পাঁচ সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থা হচ্ছে- নাগরিক সেবায় সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা মূল্যায়নের এক কার্যকর পদ্ধতি। এই ব্যবস্থার যথাযথ প্রয়োগ সরকারী সংস্থার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
×