ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানি এক্সচেঞ্জে দারোগার হানা, তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ৩০ জুন ২০১৫

মানি এক্সচেঞ্জে দারোগার হানা, তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দারোগার কাজ ব্যবসায়ীকে নিরাপত্তা দেয়া। সেটা না করে উল্টো এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেইল করতে হানা দেয় পুরানা পল্টনের বায়তুল ভিউ টাওয়ারের বকাউল মানি এক্সচেঞ্জে। অবৈধভাবে সিন্দুক খুলতে বলায় সোমবার বেলা বারোটায় পল্টন থানার এসআই হারুনুর রশীদকে আটক করে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। পরে বেলা একটার দিকে পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ আলম এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় চলে তোলপাড়। রোজার মাসে পুলিশই যদি এ ধরনের লুটেরার ভূমিকায় নামে- তাহলে অপরাধীরা বসে থাকবে কেন? অবশ্য মতিঝিল জোনের পুলিশ ওই দারোগার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জোর দিয়েই তদন্তে নেমেছে। বকাউল মানি এক্সচেঞ্জের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করেন কোম্পানির ম্যানেজার আবুল খায়ের পাশের জনতা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কর্মস্থলে আসছিলেন। পথে পল্টন থানার এসআই হারুন আবুল খায়েরের গতিরোধ করে এবং তার ব্যাগ তল্লাশি করতে চান। খায়ের ব্যাগ তল্লাশি করতে না দিয়ে দৌড়ে অফিসে চলে আসেন। এসআইও পেছনে পেছনে দৌড় দিয়ে আসেন। পরে খায়ের পুলিশকে ব্যাগের টাকা দেখালেও তিনি সিন্দুক খুলতে বলেন। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসআই হারুনকে আটকে রাখে। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তার নেমপ্লেট খুলে ফেলেন। বাবু বলেন, নেমপ্লেট খুলে ফেলায় সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে পল্টন থানার ওসিকে ঘটনাটি জানানো হলে। তিনি এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান। একই সঙ্গে স্টেটমেন্ট নেয়ার জন্য আবুল খায়েরকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। বাবু জানান, অনুমতি ছাড়া প্রশাসনের কোন লোক মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে অভিযান চালাতে পারেন না। অভিযান চালাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে অভিযানকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিও থাকবেন। কিন্তু এসআই হারুন নিয়ম-নীতি না মেনে অবৈধভাবে অফিসে ঢুকে সিন্দুক খুলতে বলেন। এ বিষয়ে পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ আলম জনকণ্ঠকে বলেন, এসআই হারুনকে কেউ আটক রাখেনি। খায়ের ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে কর্মস্থলে আসছিলেন। এ সময় এসআই হারুনের খায়েরকে সন্দেহ হলে ব্যাগটি তল্লাশি করতে চান। পুলিশের সন্দেহ হলে যে কাউকে তল্লাশি করতে পারে। এটা অপরাধের কিছু নয়, তবে ওই পুলিশ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু করে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মতিঝিল জোনের ডিসি স্যারকে জানানো হয়েছে। তাকে ক্লোজ করা হতে পারে। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর।
×