ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোপা কাঁপাচ্ছেন আর্জেন্টাইনরা

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৩০ জুন ২০১৫

কোপা কাঁপাচ্ছেন আর্জেন্টাইনরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফেবারিট হিসেবেই কোপা আমেরিকায় খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে তার প্রমাণও রেখেছে মেসি-এ্যাগুয়েরোরা। তবে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা পারবে কী শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসতে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের হাতে। তবে এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনার ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য সুখবর আছে। ইতোমধ্যেই সেমিফাইনালের টিকেট কাটা চার দলের যারাই চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন, ট্রফি হাতে আর্জেন্টিনার কোচকেই দেখা যাবে। কেননা লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া চার দলের সব কোচই জন্মসূত্রে আর্জেন্টিনার! চিলির কোচ জর্জ সাম্পোলি। আর্জেন্টিনার জেরার্ডো মার্টিনো। প্যারাগুয়ের কোচ রামোন ডিয়াজ আর পেরুর কোচ রিকার্ডো গারেকা। এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্যারাগুয়ের কোচ। ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেই তিনি বলেছিলেন, ‘এটা খুব গর্বের বিষয়। এতে প্রমাণ হলো আর্জেন্টিনা শুধু বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের তৈরি করে না, ভাল কোচও তৈরি করে।’ চিলির সাম্পোলি ষাটের দশকে জন্মেছিলেন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে-তে। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ফুটবল জীবন অবশ্য তেমন উজ্জ্বল ছিল না। ১৯৭৭-১৯৭৯ দুই বছর নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের খেলার সময় চোটের কারণে হারিয়ে যান তিনি। ১৯ বছরেই শেষ হয়ে যায় সাম্পোলির ফুটবল জীবন। ২০০২ সাল থেকে শুরু করেন কোচিং। ২০১২ সালে থেকে রয়েছেন চিলির দায়িত্বে। ফুটবল জীবনের আক্ষেপ এবার কোচ হিসেবে মিটিয়ে নিতে চান তিনি। তার দলকে এবার কোপার সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবেও ধরে নিয়েছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। প্যারাগুয়ের রামোন ডিয়াজের বয়স ৫৫ বছর। লা রিজাতে জন্মানো এই স্ট্রাইকার চার বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। দেশের হয়ে দশ গোল রয়েছে তার। কোচিং শুরু করেন রিভার প্লেট ক্লাবে, ১৯৯৫ সালে। প্যারাগুয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছর। আর এবারই চমকে দিয়েছে কোপায়। ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে তার দল। রিকার্ডো আলবার্তো গারেকা এবারই প্রথম পেরুর দায়িত্ব নিয়েছেন। বেশ ভাল খেলছে তার দল। রামোন ডিয়াজের মতো তিনিও আশির দশকের শুরুতে বিক্ষিপ্তভাবে পাঁচ বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনায়। ২০ ম্যাচে পাঁচটা গোলও করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। ১৯৯৬ সাল প্রথম কোচিংয়ে আসেন তিনি। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসেও কোচিং করিয়েছেন তিনি। পেরুর কোচ হয়েছেন এবারই। দায়িত্ব নিয়েই কোপার সেমিফাইনালে। সামনে এবার চিলি। এবারই আসল পরীক্ষা গারেকার। এরপরই আর্জেন্টিনার কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। দেশের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন, ১৯৯১ সালে। এ্যাট্রাকিং মিডফিল্ডার মার্টিনো বার্সিলোনাতেও খেলেছেন এক বছর। কোচ হিসেবেও সামলেছেন বার্সাকে। প্যারাগুয়ের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন টানা পাঁচ বছর। ২০১১ সালে কোপার ফাইনালে উঠেছিল তার প্যারাগুয়ে। হারতে হয়েছিল উরগুয়ের কাছে। তারপরই দায়িত্ব ছাড়েন মার্টিনো। এবার কী আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারবেন? ভক্ত-অনুরাগীদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার। তবে সেটা যাই হোক না কেন, আর্জেন্টাইন সর্মথকরা এটা ভেবে আনন্দিত হতে পারেন যে, এবার যে দলই চ্যাম্পিয়ন হোক শিরোপায় ছোঁয়া থাকবে কোন এক আর্জেন্টাইনের।
×