ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আলোচনার কেন্দ্রে কক্সবাজারের রহস্যঘেরা;###;একটি ভবন

ইয়াবা আগ্রাসনে জড়িত পুলিশ! রোধ করা যাচ্ছে না যে কারণে-

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৭ জুন ২০১৫

ইয়াবা আগ্রাসনে জড়িত পুলিশ! রোধ করা যাচ্ছে না যে কারণে-

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর অসৎ সদস্যের সরাসরি সহযোগিতার জের হিসেবে দেশে ইয়াবার আগমন ও পাচাররোধ করা যাচ্ছে না। বেসরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত শত শত কোটি টাকার ইয়াবা ধরা পড়েছে। অবশ্য এর চেয়ে বহুগুণ বেশি ইয়াবা পাচার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। মরণনেশা ইয়াবার আগ্রাসনে দেশের সিংহভাগ যুবসমাজ এখন এ মাদকে আসক্ত। যুবতীদের একটি অংশও এ মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। সমুদ্র পথে সাম্প্রতিক মানব পাচারের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর এ প্রক্রিয়াটি বর্তমানে থমকে আছে। কিন্তু ইয়াবা আগ্রাসন অপ্রতিরোধ্য। বিভিন্ন সূত্রে জানানো হচ্ছে শুরুতে এ মরণনেশা ইয়াবা সেবনকারীদের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। কিন্তু বর্তমানে এর বিস্তৃতি ঘটেছে ভয়াবহ আকারে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা হচ্ছে এ ইয়াবা পাচার রোধে মূল দায়িত্ব যাদের ওপর সেই পুলিশের একশ্রেণীর অসৎ সদস্য এ ব্যবসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। প্রমাণ মিলেছে গত ২০ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল এলাকায় বিলাসী একটি এলিয়ন ব্র্যান্ডের প্রাইভেট কারে ঢাকা এসবির এএসআই মাহফুজুর রহমানকে ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারের ঘটনা। মাহফুজকে গ্রেফতারের পর এ পর্যন্ত তার কাছ থেকে ১৮ পুলিশের নাম বেরিয়ে এসেছে। যাদের মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চল থেকে চিহ্নিত হওয়া ১১ জনকেই ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে বদলি করে দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এক ওসিকে ওএসডি করা হয়েছে। প্রায় ২৭ কোটি টাকা মূল্যের আটক এ ইয়াবার চালানের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দফতরসহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গঠিত হয়েছে দুটি কমিটিও। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের টেকনাফ সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩৯ ইয়াবা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব ইয়াবার প্রধান বাজার বাংলাদেশ। মূলত টেকনাফের সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদী, টেকনাফ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ স্থল সীমান্ত পথ এবং সাগর পথে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবার চালান। কোন মতেই ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবা চোরাচালান। নাফ নদীসহ স্থল সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, সাগরে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কঠোর নজরদারি ছাড়াও সড়কপথে পুলিশের নিয়মিত টহল ও তল্লাশি চলেছে। কিন্তু তারপরও আসছে ইয়াবার চালান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যের হাতে প্রতিনিয়ত ইয়াবার যে চালান ধরা পড়ছে তা যে পরিমাণ আসছে সে তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এ কারণে দেশজুড়ে ইয়াবা পৌঁছে যাচ্ছে রীতিমতো ঘরে ঘরে। মিয়ানমারে উৎপাদিত মাদক ইয়াবা সীমান্ত পেরিয়ে চোরাইপথে দেশের আনাচে কানাচে পৌঁছে যাওয়ার নেপথ্যে পুলিশের একশ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা যে জড়িত তা বহু আগে থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল। টেকনাফ সীমান্ত হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার কখনও ছোট কখনও বিশাল চালান নদী, সাগর ও স্থলপথে আসার পর তা চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকা হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছানোর কাজে পুলিশের একশ্রেণীর অসৎ সদস্য জড়িয়ে থেকে এ কাজে সহযোগিতা করে আসছে তা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ফেনীর লালপোলে ইয়াবার বিশাল একটি চালান চট্টগ্রাম র‌্যাব সেভেন আটক করার পর ধরা পড়ে যায় ঢাকা এসবির এএসআই মাহফুজুর রহমান। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার জবানবন্দী থেকে বেরিয়ে এসেছে কক্সবাজার থেকে শুরু করে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু পুলিশ সদস্যও এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ পায় এরা। ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে ইয়াবার চালান ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন অভিযোগে গত ২৩ জুন কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওসিসহ জেলার ১১ এসআইকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। ওসি (ডিবি) দেওয়ান আবুল হোসেনকে ক্লোজ করে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। বদলি অন্যান্য এসআই হচ্ছেন ডিবির বিলাল হোসেন, ইকরামুল হক, মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, মোঃ আমীর, এবিএম কামাল, কামাল হোসেন, মাশরুরুল হক, মোঃ ফিরোজ আলম, সেলিম ও এএসআই সেলিম। এদের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ফেনীর লালপোল এলাকায় একটি এলিয়ান প্রাইভেট কার আটক করে এর অভ্যন্তরে রাখা ২৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা আটক করে। সঙ্গে গ্রেফতার হয় ডিএমপির নগর বিশেষ শাখার টেকনিক্যাল এলাকায় নিয়োজিত এএসআই মাহফুজুর রহমান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে কক্সবাজার পুলিশের একটি সিন্ডিকেট ইয়াবা চোরাচালানে সম্পৃক্ত। এরপরই কক্সবাজার পুলিশ কর্তৃপক্ষ সদর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন থানা এলাকার এসআই ও এএসআইদের একযোগে বদলি করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা চোরাচালান মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার চিহ্নিত কয়েক গডফাদারের নিয়ন্ত্রণে। মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে ফেলে এরা হাতে নিয়েছে পুলিশের দুর্নীতিবাজ কিছু সদস্যকে। এদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হয়ে ইয়াবার বড় বড় চালান চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। পরে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোটি কোটি টাকার ইয়াবার চালানের এ ব্যবসা থেকে অবৈধ আয়ের অর্থ পুলিশ ছাড়াও সমাজের বিত্তশালী ও প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, কক্সবাজার শহরের রহস্যঘেরা একটি ভবন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ ভবনে ভাড়া থাকেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠিত কয়েক ব্যবসায়ী। ভবনটির সুনাম রয়েছে কক্সবাজার শহরে। কিন্তু পরে দেখা যায় এটি মূলত ইয়াবা মজুদের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এ ভবনটির তৃতীয় তলায় মজুদ করা হতো ইয়াবার চালান। এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক বিলাল হোসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এসআই বেলালের সর্বক্ষণিক যাতায়াত ছিল ঐ ফ্ল্যাটে। তার সঙ্গে থাকত টেকনাফের দুলাল নামে আরেক যুবক। এ ফ্ল্যাটে বহু পুলিশ সদস্যের জমজমাট আড্ডা চলত। পুলিশ সদস্যদের এ ভবনে আনাগোনার বিষয়টি এলাকার সকলেরই জানা। কিন্তু এ যাতায়াতের নেপথ্যে যে ইয়াবা ব্যবসা জড়িয়ে আছে সাধারণ মানুষের জানা ছিল না। সূত্র জানায়, জেলা পুলিশের সিভিল পোশাকের টিম ইয়াবা ধরার পর প্রায় সময় আটকদের ঐ ফ্ল্যাটে নিয়ে যেত। সেখানে দফারফা করে অনেককে ছেড়ে দেয়া হতো। অপরদিকে, বিভিন্ন স্থানে আটক ইয়াবার বড় একটি অংশ সরিয়ে ফেলে ঐ ফ্ল্যাটে মজুদ করা হতো। শুধু তাই নয়, অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে ইয়াবা কিনে নিয়েও এ গুদামে জমা করা হতো। নেপথ্যে কাজ করতেন এসআই বিলাল। এ বিলাল ইতোমধ্যেই বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। ফেনী লালপোল এলাকায় ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ধরা পড়ার পর এসআই বিলাল ঐ ফ্ল্যাট থেকে গা-ঢাকা দেয়। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ রয়েছে। তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল রয়েছে পার্কিং এলাকায়। বুধবার বাড়ির মালিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে র‌্যাবের উদ্ধারকৃত ৭ লাখ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাহফুজ স্বীকার করেছেন ইয়াবার এ চালানটি কক্সবাজারের ওই ম্যানশন থেকে এসআই বিলাল সরবরাহ করেছে। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, তাদের ধারণা, ইয়াবা চালানের শুরুতে পুলিশ জড়িত না থাকলেও মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে দুর্নীতিবাজ কিছু পুলিশ সদস্য বর্তমানে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে বিলাল, মাহফুজের সম্পৃক্ততা এখন একেবারেই পরিষ্কার। আবার এমন অভিযোগও রয়েছে, সাধারণ যুবক-যুবতী ছাড়াও খোদ পুলিশের কিছু সদস্য ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। অপরদিকে, ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা ছাড়া ইয়াবা কেন কোন ধরনের চোরাচালানের পণ্য পাচার হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে জল, স্থল এবং হাইওয়েতে পুলিশের যে নজরদারি রয়েছে তা এসব চোরাচালানের পণ্য ধরা কঠিন কোন কাজ নয়। এরপরও ফাঁকফোকরে কিছু চালান পেরিয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়। তবে একথা সত্য যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে বড় ধরনের কোন চোরাচালানের পণ্য কোনপথেই যায় না। ইয়াবা চালানের সঙ্গে পুলিশ সদস্য মাহফুজ গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এ ব্যাপারে কক্সবাজার পুলিশকে সন্দেহজনক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করার পর গত ২৩ জুন ১১ পুলিশ সদস্যকে কক্সবাজার থেকে একযোগে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বদলি বা ক্লোজড শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে এদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করাই সকলের কাম্য। কিন্তু কক্সবাজার থেকে ১১ জনকে তড়িঘড়ি বদলি করে দেয়ার নেপথ্যে অভিযুক্তদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে কিনা তা নিয়েও নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে আরও ৭ পুলিশের নামে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, মূলত মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা সততার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন না করলে এ ধরনের ইয়াবাসহ চোরাচালানের বিভিন্ন পণ্য সহজে পার পেয়ে যাওয়ার অবকাশ থেকে যায়। সমাজের বিভিন্ন স্তরে অসৎ ব্যক্তিদের অবস্থান যেমন রয়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতেও এ ধরনের লোকজন যে নেই তা বলা যাবে না। তবে ঘটনা প্রমাণিত হলে এদের শুধু বরখাস্ত নয়, আদালতে সোপর্দ করে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হবে শ্রেয়। সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দিয়ে এবং সাগর পথে কক্সবাজার অঞ্চল থেকে ইয়াবার চালান যে এসে থাকে তা তাদের জানা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সোর্সের মাধ্যমে খবর পাওয়া না গেলে সহজেই এ জাতীয় চালান পার পেয়ে যায়। আর এ জাতীয় চালান পাচারে পুলিশের কোন কোন সদস্য যদি জড়িয়ে যায় তাতে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়। আইনজ্ঞদের মতে, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যাপারে আইন আরও কঠোর করা প্রয়োজন। শাস্তির ব্যবস্থাও সর্বোচ্চের বিধান করা অপরিহার্য। অন্যথায় ইয়াবার আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশের উঠতি বয়সের যুব সমাজসহ মাদক আসক্তদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত যে হারে বেড়ে চলেছে তা রোধ করা কোন অবস্থাতেই সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যেই টেকনাফ দিয়ে মূলত ইয়াবা চোরাচালান কারা নিয়ন্ত্রণ করছে সে ব্যাপারে খোদ পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে। এ রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে ইয়াবা চোরাচালানের গডফাদারদের নাম পরিচয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা এখনও লক্ষণীয় নয়। এ কারণে ইয়াবার চালান বিভিন্ন পথে আসছে আর এ কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা।
×