ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবারের বিষয় ॥ আমাদের হাসপাতাল

সমাজ ভাবনা

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৫ জুন ২০১৫

সমাজ ভাবনা

হাসপাতাল হোক আস্থার প্রতীক অমিত দাস আমি মনে করি বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের হাসপাতালের সংখ্যা অপ্রতুল। এ কারণে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বে¡ও চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া আর্থিকভাবে সহায়সম্বলহীন হতদরিদ্র হৃতসর্বস্ব আপামর জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা থানা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, কমিনিউটি ক্লিনিক, জেলা হাসপাতালসমূহ, সেগুলোও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসা মহান পেশা হলেও চিকিৎসকগণ মহত মহান মানবদরদি জনসেবক কোন বিশেষণেই বিশেষায়িত নন বরং দুর্ভোগে পড়া জনগণকে অবলীলায় বলতে শুনি ডাক্তাররা হলো কসাই। এই অভিধার ব্যতিক্রম হয়ত কতিপয় চিকিৎসক এদেশে থাকলে থাকতেও পারেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা নেহায়েত নগণ্য। সরকারী হাসপাতালগুলোয় কর্মরত সরকারী কোষাগার থেকে মাসে মাসে বেতন নেয়া সরকারী চিকিৎসকগণ যখন সরকারী হাসপাতালের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বেসরকারী উদ্যোগে ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিকে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে বেশি আগ্রহী, তখন এইসব অর্থগৃধ্ণুদের মহান সেবক বলি কি করে? এদের রোগীপ্রতি ফি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা; এই সেই প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করে করে গচ্ছা যায় আরও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেখান থেকেও উঁনারা কমিশনের ভাগ পেয়ে থাকেন। তাঁদের রয়েছে নিজস্ব রোগীসংগ্রাহক দালাল। যারা একটু আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা হয়ত স্কয়ার, এ্যাপোলো, ল্যাবএইড, ইবনেসিনাতে চিকিৎসা নিতে পারেন কিংবা রোগের বিস্তার অনুসারে পাশের দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আস্থার প্রতীক হাসপাতালগুলোতে পাড়ি জমান। রোগমুক্তির আশায় সেটা হোক তামিলনাড়ুতে কিংবা সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথে কিংবা থাইল্যান্ডে হোক, অবস্থাসম্পন্ন রোগীরা সেসব জায়গায় যেতে দ্বিধা করেন না। কিন্তু সর্বসাধারণের কি বেহালদশা সরকারী চিকিৎসা সেবা নেয়ার বেলায়। পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় হরহামেশাই। তাই যখন দেখি বেসরকারী ক্লিনিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে দিনে কিংবা রাতে সাদা বাতি জ¦লা সাইনবোর্ডে বিদেশ থেকে ডিগ্রী নেয়া অমুক নিউরোলজিস্ট, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক, তমুক গাইনী, কার্ডিওবিশেষজ্ঞ মেডিসিন স্পেশালিস্ট সার্জন সেবা দিয়ে থাকেন আমাদের এখানে অথচ আমার রোগী মরে বেঘোরে হাসপাতালে অযতœ অবহেলায়, তখন বড় কষ্ট হয়। আমি এমপিওভুক্ত সামান্য কলেজ প্রভাষক। আমার বড়ভাই দর্জির কাজ করতেন, তাঁর মেরুদ-ে সমস্যা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, কোন কাজ হয়নি। তারপরে আমি বেসরকারী পপুলার ডায়াগনস্টিকে একজন অর্থোপেডিক সার্জন দেখিয়েছি, এম আর আই করিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমার ভাই তিন মাস ধরে একেবারে শয্যাশায়ী এমনকি ঘরেই প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয় তাঁকে। আমি আমার ভাই ও তার পরিবারের ভবিষ্যত ভেবে দুচোখে অথই অন্ধকার দেখছি। আমার মতো হাজারো মানুষ রয়েছে এদেশে যাদের পক্ষে দেশে সুবিখ্যাত হাসাপাতাল কিংবা বিদেশে রোগীর চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য। তাই আমি বলব আমাদের অনেক আশা ভরসার আশ্রয়স্থল গরিব মানুষের চিকিৎসা নেয়ার সুবিধার্থে সরকারী হাসপাতালগুলো আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেনি। চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজ, নেত্রকোনা থেকে হাসপাতাল ও মৃত্যুখেলা আশরাফুল আলম হাসপাতাল নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম অনেক আগেই। কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি। সরকারী হাসপাতাল, বেসরকারী হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, কর্মচারী, গেটম্যান দেখেছি খুব কাছ থেকে। আমার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আমার জন্মদাতা পিতা পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। সেখানে একমাস ছিলাম তার সঙ্গে। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অসুস্থ বাবার সঙ্গে রাত্রিযাপন করেছি একমাস। আমার খালু হার্ট এ্যাটাক করে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ছিলেন পনেরো দিন। এক বোন এ্যাপোলো হাসপাতালে অপারেশন করেছেন। লেখক হিসেবে মানুষের দুঃখকে ধারণ করতে চেয়েছি। তাই গ্রাম থেকে যে কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে ছুটে যাই দেখতে। আর আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি বড় হতে থাকে। তার কিছুটা তুলে ধরতে চাই। কিছু কিছু সরকারী হাসপাতালে চরম নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা চলছে। হাসপাতালে না গেলে কেউ বুঝবেন না। ডাক্তার, নার্স, সময়মতো থাকেন না। ভালভাবে রোগী দেখেন না। রোগীর স্যালাইনের রি-এ্যাকশনেও রোগী মারা যায়। নাকে লাগানো অক্সিজেন সরে গিয়ে কখনও বা সিলিন্ডারে গ্যাসের অভাবে রোগী মারা যায়। পেটের ভিতরও যন্ত্রপাতি রেখে পেট সেলাই করে। ডাক্তার রোগী সম্পর্কে ভালভাবে তথ্য না জেনে ভুল চিকিৎসা করেন। অত কথা জানা ও শোনার তার সময় কোথায়? তাই ভুল চিকিৎসায় রোগীর বারোটা বাজছে। কিন্তু কেউ টের পাচ্ছে না। ডাক্তার প্রায় সময় রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। সরকারী হাসপাতাল নামে সরকারী, আসলে টাকার খেলা। সিট পেতে হলেও ওয়ার্ডবয়কে টাকা দিতে হয়। বেড ভাড়া দিয়ে আয়া-বুয়ারাও টাকা খায়, খবরদারি করে। কমিশনের জন্য সব পরীক্ষা হাসপাতালে করে না। পরিচিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে দেয়। আমি ডাক্তারকে একবার প্রশ্ন করলে বলেন, এখানকার পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য নয়। ঢাকা মেডিক্যালের মতো হাসপাতালেও এভাবে মিথ্যাচার করা হয়। গরিব সে রোগীর জমিজমা বিক্রি করতে হয়েছে। হার্টের ভাল্ব লাগাতে গিয়ে কারেন্টের জন্য বেশি রক্তক্ষরণ হয়। রক্ত পায়ের দিকে জমাট বেঁধে যায়। পা ভাঙ্গার রোগীর অপারেশন করতে গিয়ে রোগী স্ট্রোক করেছে ডাক্তারের অজ্ঞতার কারণে। অপারেশনের রোগী প্রচ- জ¦রে কাতরাচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার সাপোজিটর দিচ্ছেন না। রোগীর স্বজনরা আশপাশে ছিল না বলে। স্বজনরা এসে বাইরে থেকে কিনে আনার পর তা দেয়া হয়। আমার বোনের টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে কণ্ঠনালীর রগ কেটে ফেলেছে। মানুষটি এখনও স্পিচ থেরাপি নিচ্ছে আর কাঁদছে। চিরকাল কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। এ্যাপোলো হাসপাতালের মতো নামীদামী হাসপাতালেও এ ঘটনা। সরকারী হাসপাতালে ইনজেকশন থাকলেও আমাকে দেয়নি। ওয়ার্ডবয়কে ৩০০ টাকা দিলে ৬০০০ টাকার ১০টি ইনজেকশন হাসপাতাল থেকে দেবার ব্যবস্থা করে। আইসিইউর রোগী নয়, তবু তাকে আইসিইউতে নিয়ে অনেক টাকার বিল করেছে। আবার রোগী মারা গেছে এ খবর না জানিয়ে আইসিইউতে রেখে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থিত করা সম্ভব হয় না। ডাক্তারের ব্যাপারে মানুষের এখানেই চরম সীমাবদ্ধতা। আমার এসব ঘটনা শুনে পাঠক বিস্মিত হতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্য। এসব আমাদের জীবন থেকে নেয়া। ডাক্তাররা মৃত্যু নিয়েও খেলা খেলে। হাসপাতাল ও এসব মৃত্যুখেলা নিয়ে লিখতে পারি পাতার পর পাতা। রামপুরা, ঢাকা থেকে ডাক্তার নাকি কসাই? শাহ আলম বাচ্চু হাসপাতাল ও ডাক্তার একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। একজন অসহায় রোগী হাসপাতালে এসে ডাক্তারকে খোদার পরেই স্থান দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া বড়ই দুঃসাধ্য ব্যাপার। ডাক্তারের অপেক্ষায় হাসপাতালের বারান্দায় কাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বহির্বিভাগে থাকে লম্বা বড় লাইন। সময় হয়েছে অথচ ডাক্তার তার চেম্বারে না এসে চায়ের টেবিলে অন্য গল্পে ব্যস্ত। অসহায় রোগীটি বসতেও পারে না আবার লাইনও ভাংতে পারে না। দূরপল্লী থেকে যে অসহায় রোগীটি ভর্তি হলো হাসপাতালে সে রোগীটিকে কে দেখবে। কারণ ডাক্তার চেম্বারে নেই। অথচ অফিস টাইম চলছে। হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে থাকা রোগীর অপেক্ষার পালা শুরু হয়। সন্ধ্যা নামে রাত গভীর হয় কিন্তু ডাক্তার আসে না। নিঃসঙ্গতা মাখা হাসপাতালের ছাদের কার্নিশে লাগে চিন্তার ছাপ। ব্যালকনি, বারান্দায়, জরুরী বিভাগে, অপারেশন থিয়েটারে চলে ডাক্তার আমার কথোপকথন। শোনা গেল, ডাক্তার এখন বড় ক্লিনিকে বেশি মূল্যে রোগী দেখছে আজ আসতে পারবে না। পরে আসবে। আবার চলে ডাক্তারের অপেক্ষা। রাত আরও গভীর হয়। অসহায় রোগীর চিৎকারে রাতের নিস্তব্ধতা থেমে যায়। নৈশ প্রহরীর ঝিমুনিভাব কেটে যায়। হাসপাতালের বারান্দায়, ব্যালকনি, করিডরে, নার্স ওয়েটিং রুমে, প্রতিটি কেবিনে কেবিনে নামে বিষাদের ঘনঘটা। রোগীর সঙ্গে আসা সঙ্গীটি পাগলপ্রায়। কারণ রোগীর অবস্থা ভাল না। ছুটে যায় নার্স ওয়েটিং রুমে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সের ঘুম টুটে যায়। রাগান্বিত হয়ে বলে সকালে ডাক্তার এসে দেখবে। দুঃখের রাত যেন শেষ হয় না। ডাক্তারের অপেক্ষার পালা যেন ফুরায় না। অবশেষে দুঃখের রাত পার হয়। নতুন দিনের নতুন সূর্যের আলোতে ভুবন আলোকিত হয়। কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। অবশেষে ডাক্তার আসে। রোগীর পুরো বিবরণ না শুনেই পুরো প্রেসক্রিপশনের পাতা ভরে টেস্টের কথা লিখে দেয়। আর বলে দেয় অবশ্যই অমুক ডায়াগনস্টিকে টেস্ট করাবেন। কারণ সেখান থেকে ডাক্তার কমিশন পায়। নির্ধারিত সেন্টারে টেস্ট না করালে ডাক্তার রেগে যায়। প্রেসক্রিপশন হাতে ফেরত দিয়ে বলে, এসব রোগীকে চেম্বারে দেখাতে হয়। আমরা এটাকে কি বলবÑ সেবা না অমানবিক বাণিজ্য। জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারী এসব হাসপাতালের ডাক্তার বাবুর কি লজ্জা হয় না। হৃদয়ের মানবিকতা কি উদয় হয় না। নাকি টাকার নেশায় মহান পেশাকে পদদলিত করে নিজেকে কসাই বানিয়েছে। অথচ যদি কোন ডাক্তার রোগীর মাথায় হাত রেখে বলে আপনার কিছুই হয়নি নিয়মিত ওষুধ খান ঠিক হয়ে যাবেন। শুধুমাত্র এই সৎ সাহসটুকু দিলেই রোগী অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়। আর বাকিটা সৃষ্টিকর্তার দয়াতে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রে ভাল হয়। আমরা কেন সৎ সাহস, উৎসাহ প্রেরণা রোগীকে দেই না। আমরা কেন অবহেলা করি। ডাক্তার কেন রোগীর বন্ধু হতে পারে না। হাসপাতালকে কেন সেবাদানকারী বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে করতে পারি না। ডাক্তারের অপেক্ষায় রোগী কেন বরং রোগীর অপেক্ষায় ডাক্তার থাকবে। হাসপাতালে সুন্দর সেবা দিবে এটাই তো স্বাভাবিক। হাসপাতাল যেন বিড়ম্বনার আতুরঘর না হয়। হাসপাতাল যেন সেবার ঘর হয়। রাধানগর, পাবনা থেকে হাসপাতাল বনাম প্রাইভেট ক্লিনিক আজিজুর রহমান ডল জামালপুর জেলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উপজেলা সরিষাবাড়ী। এ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার কিছু অংশের প্রায় তিন লক্ষাধিক জনসাধারণের জন্য একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র সরিষাবাড়ী হাসপাতাল। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরিষাবাড়ী হাসপাতালটি কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে হত-দরিদ্রসহ বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজন চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন এ হাসপাতালে। হাসপাতালের বাইরেটা দেখে বোঝার উপায় নেই যে ভেতরের অবস্থা কতটা অপরিচ্ছন্ন। অধিকাংশ রোগীর বিছানাপত্র ময়লাযুক্ত। রোগীদের দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেটের বেহাল দশা। মহিলা ওয়ার্ডগুলোতে পুরুষের আনাগোনা চোখে পড়ার মতোই। হাসপাতালে স্থানীয় দালাল চক্রের উৎপাত কম নয়। রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দালাল চক্রের কেউ না কেউ তাদের পিছু নেয়। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে রোগী সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়ছে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা কোন রকমে কর্ম সম্পাদন করেই ছুটে যান উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে। আবার কোন কোন সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তাররা রোগী রেখেই দ্রুত চলে যান প্রাইভেট ক্লিনিকের রোগীর চিকিৎসার জন্য। ফলে দূর থেকে আসা দরিদ্র রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। হাসপাতালটির জরুরী বিভাগে কাটাছেঁড়ার কাজ করে ওয়ার্ডবয় ও মালিসহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। ডাক্তার স্বল্পতা আর দালাল চক্রের উৎপাত এবং রোগীদের প্রতি নার্সদেরও অযতœ অবহেলায় হাসপাতালটি যেন এক কসাইখানা। রোগীরা বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল ছেড়ে ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা নিতে। ফলে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোই লাভবান হচ্ছে। জামালপুর থেকে
×