ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চার্লসটনের ঘাতকের টুইটারে বর্ণবাদী ইশতেহার

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২২ জুন ২০১৫

চার্লসটনের ঘাতকের  টুইটারে বর্ণবাদী  ইশতেহার

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লসটনে কৃষ্ণাঙ্গদের গির্জায় হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ এই তরুণের টুইটারে ঘৃণাভরা বর্ণবাদী ইশতেহার এবং ক্যামেরার দিকে বন্দুক তাক করা, মার্কিন পতাকায় থুতু ফেলা ও পোড়ানোর ছবি পাওয়া গেছে। ‘লাস্ট রোডিশিয়ান’ নামের ওই ওয়েবসাইটে ২১ বছর বয়সী ডিলান রুফের গৃহযুদ্ধের সময়কার কনফেডারেট সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত পতাকা নিয়ে পোজ দেয়া ছবিও দেখা গেছে। শনিবার পাওয়া ছবিগুলো কারা টুইটারে পোস্ট করছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে টুইটার এ্যাকাউন্টটি রুফের নামে ফেব্রুয়ারিতে রেজিস্ট্রেশন করা বলে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও টেলিগ্রাফের। ওয়েবসাইটে দেয়া ওই বর্ণবাদী ইশতেহারে শ্বেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে রুফের ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। আফ্রিকান-আমেরিকানদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে কোন অনুশোচনার কারণ নেই বলে দাবি করেছে সে। নির্দিষ্ট না করা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সে ‘উদাহরণ’ স্থাপন করবে বলে তার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমার অন্য কোন পছন্দ নেই। আমি চার্লসটনকে বেছে নিয়েছি কারণ আমার রাজ্যে এটিই সবচেয়ে ঐতিহাসিক শহর এবং এক সময় দেশের মধ্যে এখানেই শ্বেতাঙ্গদের অনুপাতে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। বন্দর শহর চার্লসটন থেকেই গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। রুফের ছবিগুলোর মধ্যে কনফেডারেট সামরিক বাহিনীর জাদুঘর ও তুলার ক্ষেত্রে কাজ করা দাস শ্রমিকদের সংরক্ষিত বাড়ির সামনে তোলা ছবিও পাওয়া গেছে। রুফের ছবিগুলোর মধ্যে স্থানীয় এমন কিছু বিশেষ জায়গা বেছে নেয়া হয়েছে যেগুলোতে চার্লসটন শহরের বর্ণবাদী অতীতকে তুলে ধরা হয়েছে। এসব ছবির মাধ্যমে শহরটির কৃষ্ণাঙ্গ সমাজকে আফ্রিকান-আমেরিকান অতীত মনে করিয়ে দিয়ে স্পর্শকাতর একটি ইস্যুকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে গির্জায় গুলি করে নয়জনকে হত্যার ঘটনায় আটক রুফ ‘শ্বেতাঙ্গ’ বলে কি পুলিশ বাড়তি খাতির করছে? এই প্রশ্নে যুক্তরাষ্টের সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আগের অনেক ঘটনার সঙ্গে এর তুলনা করে দাবি করছেন, আটক হওয়ার পর একজন নির্দোষ কৃষ্ণাঙ্গের সঙ্গে পর্যন্ত পুলিশ যে রকম নির্মম এবং নিষ্ঠুর আচরণ করে, নয়জনকে হত্যার ঘটনায় আটক রুফের বেলায় তার কিছুই হয়নি, বরং মার্কিন গণমাধ্যমে তার অপরাধকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা চলছে।
×