ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজিবি সদস্য অপহরণ জাতির জন্য লজ্জার ॥ রিপন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২১ জুন ২০১৫

বিজিবি সদস্য অপহরণ জাতির জন্য লজ্জার ॥ রিপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিজিবি সদস্য অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। শনিবার দুপুরে নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অপহরণকৃত দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) নায়েক রাজ্জাকের লুঙ্গি পরিহিত রক্তাক্ত ও হাতকড়া অবস্থায় ছবি ফেসবুকে দেখা গেছে। এ ছবিটি মিয়ানমারের পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে। এ চিত্র দেখে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে আসে। তিনি অবিলম্বে বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে উদ্ধারে তৎপরতার পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানান। রিপন বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীতে দুই বাহিনীর গোলাগুলির পর নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিপি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিজিবি ও স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী বললেও এখনও নায়েক রাজ্জাককে ছাড়েনি মিয়ানমার। যদিও ঘটনার পর ঢাকায় তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে বিজিবি সদস্যকে ছাড়াতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অনতিবিলম্বে আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনা হোক। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ভবিষ্যতে দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্যকে যেন অপমানজনকভাবে তুলে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবিকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন চলার সময় বিজিবি মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ বলেছিলেন, অস্ত্র থাকে কেন? এটা ব্যবহার করার জন্য। আমরাও বিশ্বাস করি, অস্ত্র ব্যবহার করতে হয় আইনগতভাবে। কিন্তু অস্ত্র হাতে থাকার পরও বিজিবি সদস্যরা অপহৃত হয়। এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য বিজিবিকে পেশাগতভাবে আরও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে বিজিবির জন্য এমন অপমানজনক অবস্থা তৈরি না হয় সেজন্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে কড়া সতর্ক করার দাবি জানিয়ে রিপন বলেন, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যাতে বজায় থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। রিপন বলেন, রমজানের যে পবিত্র শিক্ষা তা বিএনপির পক্ষ থেকে অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করা হয়। কারণ, সংঘাত ও রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আমরা রাজনীতিতে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই। রমজান উপলক্ষে আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম দলের কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে। কিন্তু সরকার আমাদের আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় আমরা ব্যথিত। তিনি বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদল ও সরকার মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল। দেশে একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছিল। সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে আন্দোলন কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে। তারা এতে সফলও হয়েছে। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এবং জিনিসপত্রে ভেজাল দেয়। তাই মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকা দাবি করে তিনি বলেন, বাজারের প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের তালিকা টানিয়ে দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ- স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
×