ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২০ জুন ২০১৫

নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু

রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর ॥ শেরপুরের নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে এদিন নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদিত ভারত-বাংলাদেশের সকল পণ্য আমদানি ও রফতানি করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর কার্যক্রম চালু হওয়া নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতির নেতৃবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের চাওয়া ছিল নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গ হোক। অবশেষে সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে। নৌমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে ৯টি বন্দর চালু ছিল। বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে ২০টি বন্দর চালু করেছে। আরও ১০টি বন্দর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, নাকুগাঁও বন্দরের উন্নয়নের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ইতোমধ্যেই ভারত, নেপাল, ভুটান ট্রানজিট চালু হয়েছে। নাকুগাঁও বন্দরটিকেও আমরা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করব। নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি ভবিষ্যতে ভারত, ভুটান, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এজন্য এ বন্দরটির উন্নয়নে যা যা করা দরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ায় এ এলাকাটি কর্মচাঞ্চল্য হবে। এতে এলাকার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। নৌমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারের পর আর কোন সরকার নদীগুলো খনন করেনি। বর্তমান সরকার ৫০টি ড্রেজার ক্রয় করে নদীগুলো খনন করছে। তাই যে নদীগুলোতে অজু করার পানি ছিল না, সে নদীগুলোতে আজ বড় বড় নৌকা চলছে, মাছ ধরা পড়ছে, জাহাজ চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের সকল বৈধ পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরটি চালু হয় ১৯৯৭ সালে। বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তরিত করতে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির উপর নির্মিত হয় প্রশাসনিক ভবন, অয়্যার ব্রিজ, ওয়্যার হাউস, রেস্ট হাউস, জেনারেটর হাউস, আবাসিক ভবনসহ পূর্ণাঙ্গ বন্দরের জন্য নানা অবকাঠামো। একই সঙ্গে চলছে ২শ’ ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের ২৯.৫ কিলোমিটার দুই লেন সড়ক উন্নয়নের কাজ।
×