ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খাদ্যে ভেজাল দিলেই জেল-জরিমানা ॥ সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২০ জুন ২০১৫

খাদ্যে ভেজাল দিলেই জেল-জরিমানা ॥ সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্যে ভেজাল দিলেই জেল-জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন। শুক্রবার রাজধানীর চকবাজার এলাকায় খোলা মার্কেটে ইফতারি বিক্রি পরিদর্শনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেশিরভাগ ইফতারি পণ্য খোলা বিক্রি হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এসব খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার কেউ নেই। যদিও এর দায়িত্ব পুরোপুরি সিটি কর্পোরেশনের। এমন বাস্তবতায় নগরবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। খাদ্যের মান পরীক্ষার জন্য সিটি কর্পোরেশনের একটি পরীক্ষাগার থাকলেও সেখানে কি হয় তা কেউ জানে না। সত্যিকার অর্থেই খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে কর্পোরেশনের কোন ভূমিকা রয়েছে কিনা তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এদিকে নগরীর সবচেয়ে বড় ইফতারির বাজার বসে ঐতিহ্যবাহী চকবাজার মার্কেটে। এখানে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিনা তা দেখভালের কেউ নেই। খোলা আকাশে খাদ্যপণ্য বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদেরও কোন মাথা ব্যথা নেই। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শতাধিক স্বাস্থ্যসম্মত খোলা খাবার বিক্রির গাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। চকবাজারে গিয়ে মেয়র খোকন বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে বিক্রেতাদের খাদ্যে রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করেন। খোলা খাবার বিক্রি না করতে দোকানদারদের পরামর্শ দেন তিনি। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানে ১০টি টিম কাজ করছে। তারা খাবারে রঙ, খোলা খাবার ও মরা মুরগি ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে নজর রাখবেন। সন্দেহ হলে খাবার পরীক্ষা করেও দেখবেন। ভেজাল পাওয়া গেলে পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মাহবুব ও ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর পরই খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন। এজন্য নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন তিনি। যদিও ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে মেয়রের সামনে সবাই আন্তরিক। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার প্রকাশ মেলে না। এর আগে মেয়র সাদেক হোসেন খোকা দায়িত্ব পালনকালে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের বলতেন, খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের নানা দুর্বলতা রয়েছে। প্রথম সমস্যা হলো জনবল সঙ্কট। এজন্য তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে নিতে পৃথক পুলিশ দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্কট তো আছেই।
×