ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমদানি করা নিম্নমানের গম নিয়ে কুড়িগ্রাম খাদ্য বিভাগ বিপাকে

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২০ জুন ২০১৫

আমদানি করা নিম্নমানের গম নিয়ে কুড়িগ্রাম খাদ্য বিভাগ বিপাকে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ বিদেশ থেকে আমদানি করা নিম্নমানের গম নিয়ে কুড়িগ্রাম খাদ্য বিভাগ বিপাকে পড়েছে। এই গম কেউ নিতে চাচ্ছে না। এ কারণে সরকারের ন্যায্যমূল্যে আটা বিক্রি কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে চিলমারী, উলিপর, নাগেশ^রী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন গম আটকে আছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প, টিআর, কাবিখা এবং সরকারের ন্যায্যমূল্যে আটা প্রদান কর্মসূচীতে নিম্নমানের এ গম নিতে কেউ আগ্রহী হচ্ছেন না। আটা সরবরাহকারী ডিলার মাহমুদুন্নবী মুন্না জানায়, সরবরাহকৃত গম নিম্নমানের এবং পোকা ধরা। ফলে এ গমের আটা গন্ধ করে। লালচে রং হয়। ফলে ভোক্তারা এ আটা নিতে চায় না। এ কারণে আমাদের লাভের বদলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে। কৃষি শ্রমিক আমজাদ ও আজাদ জানান, গন্ধ থাকায় আটা খাওয়া যায় না। তারা সরকারকে ভাল গম সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ইনচার্জ জাহেদুল হক চৌধুরী জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা এ গমের ৯৪৫ মে.টন সদর উপজেলায় আসে। গম নিম্নমানের এবং পোকা আছে। ফলে সহজে কেউ নিতে চায় না। বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে এখন পর্যন্ত মাত্র ২শ’ মে.টন গম সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। একই গম নাগেশ^রী, উলিপুর ও চিলমারীতেও রয়েছে। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় ৬ জন মিলারের মাধ্যমে ২১ জন ডিলার প্রতিদিন ১১টন আটা ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। বিদেশ থেকে আনা এ গম আসার পর বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। চিলমারী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব গম কিছুটা নিম্নমানের। বাজারমূল্য কম। এ কারণে কেউ নিতে চায় না। তবে তিনি দাবি করেন এ গম খাওয়ার যোগ্য।
×