ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রমজানে সর্বত্র চলবে ভেজালবিরোধী অভিযান

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৯ জুন ২০১৫

রমজানে সর্বত্র চলবে ভেজালবিরোধী অভিযান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফুটপাথের ছোট টং দোকান থেকে বড় ব্র্যান্ড কোম্পানির কারখানা সব জায়গায়ই যে কোন দিন যে কোন স্থানে ভেজালবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। রমজান উপলক্ষে বাড়তি অভিযান পরিচালনা করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতাদের ভেজাল, নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত রাখতে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হবে। এজন্য ঢাকা মহানগরী এবং এর বাইরে বেশ কিছু অতিরিক্ত মোবাইল কোর্ট নামানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রমজান উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব বিষয় জানান। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, যখন তখন যে কোন কারখানায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হবে। বড় কারখানা বলে আমরা কাউকে ছাড় দিব না। ছোট-বড় মাঝারি কোন কারখানাই বাদ যাবে না আমাদের হামলা থেকে। এমনকি রাস্তার পাশের সরবতের দোকানেও অভিযান চালানো হবে। রমজান উপলক্ষে কিছু পণ্যের দোকান বেশি হওয়ায় বাড়তি এ ব্যবস্থা বলেও তিনি জানান। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআইয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতাদের ভেজাল, নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত রাখার জন্য বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৪টি করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বাইরে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিডিউল প্রেরণ করা হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী পুরো রমজান মাসজুড়ে মোবাইল কোর্ট চলবে। গত সাড়ে ১১ মাসে ৭৫৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১১০৫টি মামলা করা হয়েছে। এসব মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে বলে বিএসটিআই থেকে জানানো হয়। সভায় বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, রমজানে যাতে নির্ভেজাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইফতার ও সেহরীতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত ৩০টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা হচ্ছে। এছাড়াও নিরাপদ পানি সরবরাহে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার পানি উৎপাদনকারীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারা নিরাপদ পানি সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, বিএসটিআইর আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে এ ধরনের ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে। অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন সেগুলোর ওপর বিশেষভাবে নজরে থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে জানানো জন্য কোন হটলাইন চালু নেই।
×