ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে তিন শ’ নারী-পুরুষ হত্যার নায়ক

শরীয়তপুরের রাজাকার কমান্ডার সোলাইমান কারাগারে

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৬ জুন ২০১৫

শরীয়তপুরের রাজাকার কমান্ডার সোলাইমান কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৫ জুন ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শরীয়তপুরের কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার, পিস কমিটির চেয়ারম্যান সোলাইমান মৌলভীকে সোমবার সকালে কড়া পুলিশী প্রহরার মধ্যে ঢাকার আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছে শরীয়তপুরের পালং সদর থানা পুলিশ। এর আগে শরীয়তপুরের একমাত্র মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী মামলার প্রধান আসামি ’৭১-এর আত্মস্বীকৃত রাজাকার, সাড়ে তিন শ’ নারী-পুরুষ-শিশু হত্যার মূল নায়ক মাওলানা সোলায়মান মোল্যা ওরফে সোলাইমান মৌলভীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রবিবার রাতে শরীয়তপুরের ডিবি ইন্সপেক্টর সুব্রত কুমার সাহার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রাজাকার সোলাইমান মৌলভীর গ্রেফতারের খবরে শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধাসহ ভিকটিমদের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। ২০১০ সালের ১১ মে শরীয়তপুর জেলা সদরের স্বর্ণঘোষ গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার রাজাকার সোলাইমান মৌলভীকে প্রধান করে মোট তিনজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক আদালতে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পর রবিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল থেকে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারের কাছে ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে সোলাইমান মৌলভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হলে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সুব্রত কুমার সাহার নেতৃত্বে একটি দল রাজাকার সোলাইমান মৌলভীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। পাকিস্তানী বাহিনীর নির্দেশে গঠিত শরীয়তপুরের পিস কমিটির সভাপতি ছিলেন সোলাইমান মৌলভী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে সাড়ে তিন শ’ নারী-পুরুষ-শিশু হত্যা করে। এর মূল নায়ক ছিল রাজাকার সোলাইমান মৌলভী। কথিত আছে, মাদারীপুর জেলা শহরে অবস্থিত এ আর হাওলাদার জুট মিলসে ক্যাম্প স্থাপন করে পাক সেনারা। সেখান থেকে পাক সেনাদের স্বাগতম জানিয়ে শরীয়তপুরে আনার জন্য সদর উপজেলার আংগারিয়া বাজারের কীর্তিনাশা নদীর পশ্চিম পাড়ে গেট সাজানো হয় সোলাইমান মৌলভীর নেতৃত্বে। মামলার বিবরণ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯৭১ সালের ২২ মে আরবী-উর্দুতে পারদর্শী কুখ্যাত রাজাকার সোলাইমান মৌলভীর নেতৃত্বে দেড় শতাধিক পাক সেনা ও রাজাকার মিলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশাভোগ, মধ্যপাড়া, ধানুকা ও রুদ্রকর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন শ’ ৭০ শিশু নারী পুরুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এদিন সদর উপজেলার মনোহর বাজার সংলগ্ন মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে শতাধিক যুবতীকে। চোখ বেঁধে মাদারীপুর জেলা সদরের এ আর হাওলাদার জুট মিলসে অবস্থিত পাক আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় ৭০ যুবতী-নারীসহ দুই শতাধিক পুরুষকে। পরে তাদের অধিকাংশের ক্ষত-বিক্ষত লাশ আড়িয়ঁল খাঁ নদ ও কীর্তিনাশা নদীতে ভাসতে দেখা যায়। ২২ মে দুপুরের পর পাকবাহিনী সর্বপ্রথম শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া বাজারে প্রবেশ করে। এ সময় পাক-বাহিনী বাজার অতিক্রম করে কাশাভোগ তালুকদার বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত গরু নিয়ে বাড়ি ফেরা কৃষক সামাদ শিকদার পাকবাহিনী দেখে ভয়ে দৌড় দিলে পাক সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলে প্রথম শহীদ হন সামাদ শিকদার। কয়েক গজ দূরে সম্ভু কর্মকার লোহা দিয়ে দা-বটি-কাঁচি বানাচ্ছিল, তাকেও সেই অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ১০০ গজ পূর্বদিকে হিন্দু সম্প্রদায় নাগ বাড়িতে ঢুকে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ উপেন্দ্রনাথ নাগকে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। গুলির শব্দ শুনে উপেন্দ্রনাথ নাগের স্ত্রী তাবিনী বেলা নাগ (৭৫) চিৎকার করে উঠলে তাকেও ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে পাকবাহিনী। পাশের বাড়িতে ঝোঁপের মধ্যে পালিয়ে ছিল একই পরিবারের শিবু দাস সাহা ও তার ভাই গৌরাঙ্গ সাহা এবং শিবু দাসের তিন ছেলেসহ এক নারী। তাদের নির্মমভাবে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এসব হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে কাশাভোগ গ্রামে। ওই সময় রাজাকাররা পাক সেনাদের বলতে থাকে স্যার, আরও সামনে চলুন, সেখানে বেশি বেশি মালাউন আছে। এরপর পাক সেনারা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মধ্যপাড়া গ্রামে প্রবেশ করে, যেখানে শতভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতি ছিল। কাশাভোগ গ্রামে গুলির শব্দ ও মানুষের আহাজারি শুনে মধ্যপাড়া গ্রামের লোকজন দিগ্বিদিক জীবন বাঁচানোর জন্য পালাতে শুরু করে। রাজাকারদের নেতৃত্বে তখন পাক সেনারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মধ্যপাড়া গ্রামে ঢুকে যাকে যেখানে পেয়েছে তাকে সেখানে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। পাক সেনাদের ভয়ে আট মাসের শিশুপুত্র কৃষ্ণকে নিয়ে মা রাধারাণী মাটির গর্তের ভেতর পালিয়েছিলেন। রাজাকারদের ইঙ্গিতে পাক সেনারা সেখানে রাধারাণীকে গুলি করলে শিশুপুত্রসহ তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে রাধারাণীর স্বামী হরি সাহা (৫০) ও তার মা চিরবালাকেও (৮০) গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর পাক সেনাদের একটি দল সাথী বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক ভজনিতাই সাহার বাড়িতে ঢুকে। ওই বাড়িতে ঢুকে রমণী সাহা ও তার মেয়ে সোভা রানীসহ সোভা রানীর শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে আশ্রয় নেয়া ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ঘাতকদের একটি দল মধ্যপাড়া গ্রামের দাসপাড়ায় ঢুকে মন্টু দাসের যুবতী বোন সখী বালা দাসকে তাড়া করলে সখী বালা তার দাদা, বৌদি ও তাদের ৬ মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন ঘাতকরা জানালা দিয়ে গুলি করলে সখী বালার বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু দাদা-বউদি ও শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সখী বালা গুলি খেয়েও চিৎকার করেনি। মন্টু দাস তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে পিছনের বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সখী বালা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ওই সময় রাজাকাররা ওই ঘরটিতে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে সখী বালাসহ ঘরটিকে ছাই করে দেয়। আর এ দৃশ্য দেখে রাজাকাররা বিকৃত উল্লাস আর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। ওই দিন দাসপাড়ার ইন্দ্রজিত দাস, তার মা কিরণ বালা দাস, ইন্দ্রজিতের ৬ মাসের পুত্র অভিমু- দাসকে ঘাতকরা নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও রাজাকার ও পাকবাহিনী সেদিন মধ্যপাড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র পোদ্দার, নিপেন্দ্রনাথ পোদ্দার, শিক্ষক সুখদেব সাহা, জয়দেব সাহা, মনি কৃষ্ণ সাহা, লক্ষীচন্দ্র সাহাসহ ৬০-৭০ জনকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। মধ্যপাড়া পোদ্দার বাড়ি থেকে ১০-১২ জন যুবতী মেয়েকে ধরে নিয়ে স্থানীয় নিকাড়ী বাড়ির কাছে টিনের ছাপড়া মসজিদের ভেতর নিয়ে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় বরিশাল ও মাদারীপুর জেলা থেকে কয়েক শ’ হিন্দু নর-নারী মনোহর বাজার ও রুদ্রকর এলাকা নিরাপদ ভেবে আশ্রয় নিতে এসেছিল। ওই সকল আশ্রয় নেয়া লোকজনের অধিকাংশই সেদিন ঘাতকদের গুলিতে শহীদ হয়। যারা বেঁচেছিল তাদেরও মাদারীপুর পাকসেনা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আরও জানান, মাদারীপুর থেকে আশ্রয় নিতে আসা চিত্ত রঞ্জন ডাক্তার, তার স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ মোট ৯ জনকে একই স্থানে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে। সেদিনের ধ্বংসযজ্ঞ যারা প্রত্যক্ষ করেছিলেন তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার দীর্ঘকাল পরেও রাজাকারদের ভয়ে অনেকে সত্য কথা প্রকাশ করতে সাহস পায় না। তারা জানিয়েছেন, একদিকে পাকবাহিনীর হত্যা ধর্ষণ যেমন চলতে থাকে, অন্যদিকে রাজাকার মুসলিম লীগের লোকজন সোলাইমান মৌলভীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার কাশিপুর, দাঁদপুর, চরচটাং গ্রাম থেকে দলে দলে এসে লুটতরাজ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত মাস ধরে যেখানে সেখানে অগণিত পচা গলা লাশ পড়েছিল। সৎকার করার কেউ ছিল না। কুকুর শিয়ালে লাশ খেয়েছে। দুর্গন্ধে অনেক দিন পর্যন্ত কেউ এলাকায় প্রবেশ করতে পারে নাই। প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম জানান, আমার বয়স তখন ১৪/১৫ বছর। ’৭১-এর ২২ মে আমি দুপুরে দোকানে বসেছিলাম। দোকান থেকে ধরে নিয়ে পাক সেনারা আমাকে দিয়ে মর্টারশেল বহন করায়। তিনি জানান, পাক সেনারা মধ্যপাড়ার কয়েক পুরুষকে ধরে এনে কলেমা পড়ানোর নাম করে রাস্তায় শুইয়ে রাইফেলের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। ওই দিন মতিলাল সাহা নামে এক নিঃসন্তান বৃদ্ধকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং এক রাজাকার চন্দ্রাই ঠাকুর নামে ৯৮ বছর বয়স্ক এক অচল বৃদ্ধকে কোলে করে এনে মাঠে বসিয়ে পাক সেনাদের বলে গুলি করিয়ে হত্যা করে। অপর এক রাজাকার পাক সেনাদের রুদ্রকর বাবুর বাড়ির দিকে নিয়ে যায়। জমিদার প্রমথ চক্রবর্তীর বাড়ির দেড় শ’ ফুট উঁচু মঠের উপর উপর্যুপরি মর্টারশেল দিয়ে হামলা চালায়। কিন্তু মঠটির কোন ক্ষতি হয়নি। আজও সেটি সদম্ভে দাঁড়িয়ে আছে। মামলার বাদী আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, আমি বিবেকের তাড়নায় ২০১০ সালে মামলা দায়ের করেছিলাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে মূল আসামি গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। আমি এই রাজাকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, সোলাইমান মৌলভীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রেরিত গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পরই আমরা অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের জন্য উক্ত ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছি। এদিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর সোলাইমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বরিশালে রাজাকার কমান্ডার সেকেন্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খোকন আহম্মেদ হীরা বরিশাল থেকে জানান, একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, তরুণ, যুবক ও শরণার্থীসহ ১২ জনকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত হামলা, লুটপাট, নারী ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে চিহ্নিত রাজাকার কমান্ডার এবং তৎকালীন শান্তি কমিটির সভাপতি সেকেন্দার মল্লিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাসহ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বরিশালের শহীদ বুদ্ধিজীবী জিতেন্দ্র লাল দত্তের পুত্র সাংবাদিক তিমির দত্ত বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিমির দত্ত জানান, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ১২ দেশ প্রেমিককে হত্যার সঙ্গে জড়িত রাজাকার কমান্ডার সেকেন্দার মল্লিক ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে রাজাকার সেকেন্দার ওইসময় রেহাই পেয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মতো এখনও তার কাছে অসহায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও সে এখনো দাপটের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীর পৈত্রিক ভিটা দখল করে রেখেছে। তিনি আরও জানান, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর মানবতাবিরোধী রাজাকার কমান্ডার সেকেন্দার মল্লিক এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফের যুদ্ধাপরাধের মামলাসহ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। সূত্রমতে, মুক্তিযুদ্ধকালে নলছিটির সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সভাপতি ছিল সেকেন্দার মল্লিক। তার পিতা মুজাহার মল্লিক ছিল মুসলিম লীগের নেতা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিজ নামে সে “সেকান্দার বাহিনী” নামের একটি রাজাকার বাহিনী গঠন করে। সরাসরি তারা পাকিস্তান সরকারের পক্ষে মাঠে নেমে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সব কর্মকা- করে।
×