ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বামিয়ানে ১৪ বছর পর আলোর সাজে ফিরল বুদ্ধমূর্তি

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৬ জুন ২০১৫

বামিয়ানে ১৪ বছর পর আলোর সাজে ফিরল বুদ্ধমূর্তি

২০০১ সালের মার্চে আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের ১৫০০ বছরের পুরনো প্রকাণ্ড দুটি বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছিল তালেবান। ধর্মের নামে ধূলিস্মাত হয়েছিল ইতিহাস। সেই ঘটনার ১৪ বছর পরে এক রাতের জন্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় সেই মূর্তি। গত ৭ জুন চীনা দম্পতি জ্যানসন এবং লিয়ান ইউয়ের উদ্যোগে থ্রিডি আলোর মাধ্যমে বামিয়ানের উপত্যকায় ভেঙ্গে যাওয়া মূর্তির শূন্যস্থানে ফের তৈরি করা হয় ওই মূর্তির প্রতিচ্ছবি। ওই দম্পতি জানিয়েছেন, মূর্তিটি আলোর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করতে তারা আফগান সরকার ও ইউনেস্কোর অনুমতি নেন। বহু বছর ধরেই ওই বুদ্ধমূর্তিকে আলোর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছা ছিল তাদের। ওই রাতে বামিয়ানে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিশাল বিশাল প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ওই মূর্তির অবিকল প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছিলেন চীনা দম্পতি। এমনকি, ওই ছায়া-ছবির উচ্চতাও রাখা হয়েছিল ১১৫ থেকে ১৭৪ ফুটের মধ্যেই। এটি আসল মূর্তির প্রায় সমান। এক মুহূর্তের জন্য সত্যিই মনে হয়েছিল সময় পিছিয়ে গিয়েছে। বুদ্ধমূর্তির প্রতিচ্ছবি তৈরি করার খবর খুব একটা প্রচারের আলোয় আসেনি। -আনন্দবাজার পত্রিকা নেপালের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর নেপালের কাঠম-ু উপত্যকার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেয়া হচ্ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এসব স্থাপনা খুলে দেয়া হচ্ছে। খবর বিবিসির। যেসব স্থাপনা খুলে দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে ঐতিহাসিক দরবার স্কয়ারও রয়েছে। ভূমিকম্পে এই স্থাপনাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো ফের জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করায় এগুলো রক্ষার ব্যাপারে কিছুটা উদ্বেগ জানিয়েছে ইউনেস্কো। তবে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে নেপালী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। গত ২৫ এপ্রিলের ওই ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও নেপালজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা কাঠমন্ডু উপত্যকার ক্ষতিকে ‘ব্যাপক ও অপূরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে নেপালে একটি দল পাঠিয়েছিল ইউনেস্কো। তারপর থেকে দলটি ধারাবাহিকভাবে নেপালের ভূমিকম্প পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
×