ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ জুন ২০১৫

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এবং যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ও যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে জনগণের জীবনমান উন্নত করে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করাই আমাদের লক্ষ্য। শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ বাড়িয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার ইতোমধ্যে ‘বিসিআইএম ইকোনমিক করিডর’ (বিসিআইএম-ইসি) নামক যৌথ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। লন্ডনের পার্ক লেন হোটেলে রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসর। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনা সভা আয়োজন করে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসী বাংলাদেশী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দেয়া মানপত্র পড়ে শোনান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র বেশ কয়েকটি কপি পাওয়ার পর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের কিছু সদস্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবারদলীয় এমপি এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী, কার্ডিফ সেন্ট্রালের লেবার দলীয় এমপি জো স্টিভেনস, ইলফোর্ড নর্থের লেবার দলীয় এমপি ওয়েস স্ট্রিং, ইলফোর্ড সাউথের লেবার দলীয় এমপি মাইক গেপস এবং সুতন ও চীপের রক্ষণশীল দলের এমপি পাউল স্কাউলি। এছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি, ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সাংসদ নবী নেওয়াজ, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে অন্যান্য শহীদ, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান উন্নয়নের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াই চালাতে হবে। তিনি বলেন, কেবল নিজেদের নিয়ে ভাবনাটা সঠিক হবে না। আমাদের প্রতিবেশীদের নিয়েও ভাবতে হবে। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নকে সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাফল্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকে একের পর এক সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মিয়ানমার-ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেও আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতে মামলা রুজুর মাধ্যমে সমুদ্রসীমা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি এবং এ আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বাঙালী জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পটভূমি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিটমহলবাসীর সমস্যা সমাধানে এ উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, ছিটমহলবাসীর বহু বছরের পুরনো সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৬ মে নয়াদিল্লীতে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৮ নবেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে এই চুক্তি অনুমোদন করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বর্বরোচিত হত্যাকা-ের পর পরবর্তী সরকারগুলো এ চুক্তি কার্যকরে কোন উদ্যোগ নেয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে ভারতের পার্লামেন্ট বহু প্রতীক্ষিত এ চুক্তি অনুমোদন করত এবং ছিটমহলবাসীর ভোগান্তির অবসান হতো। তিনি বলেন, ছিটমহলবাসীর এ সমস্যা সমাধানে জিয়া, এরশাদ, খালেদা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারও সাহস করেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং কয়েক দশকের পুরনো পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করেছে। তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বিদ্যুত ও আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশে হ্রাস করেছে। চরম দারিদ্র্যের হার ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই সরকারী ঘোষণা দেয়া হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ৬ বছরে ৫ কোটি মানুষ নি¤œবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের দ্রুত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে আমরা দেশে ২০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দেশের খাদ্য উৎপাদন ৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার টনে পৌঁছেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার নেপালে ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টন চাল পাঠিয়েছে এবং আরও ১ লাখ টন চাল পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর ফলে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহায়তায় নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে উৎসাহিত হয়েছেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ ব্যাপারে সব সময় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজের জন্য কিছু চান না। তার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশবাসীর কল্যাণ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি দেশের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। এ ব্যাপারে দেশবাসীর ভালবাসা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতা তাকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রগতির পথে অনেক বাধা আসবে। কিন্তু আমরা এসব প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে এগিয়ে যাব। শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের চিরকালের অভ্যাস স্রোতের বিপরীতে নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা এ ¯্রােতের বিপরীতে নৌকা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। আমাদের ঝড়-তুফানের মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ রয়েছে। আমাদের উভয় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত চক্রের হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও ও নৈরাজ্যের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব বর্বরোচিত কর্মকা-ের হোতা এখন লন্ডনে বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এতিমদের অর্থ আত্মসাত করেছে এবং বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ নারী-শিশু ও পুরুষকে হত্যা করেছে তারা কখনও রেহাই পাবে না। এসব জঘন্য অপরাধীর অবশ্যই বিচার করা হবে। খালার কাছ থেকে ফুলের তোড়া নেব কল্পনাও করিনি- টিউলিপ ॥ অনুষ্ঠানে লেবার পার্টির এমপি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিক বলেছেন, তিনি মঞ্চে তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ফুলের তোড়া নেবেন এ কথা কখনও কল্পনাও করেননি। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও এটা স্বপ্নে দেখিনি যে, মঞ্চ এসে আমি আমার খালার কাছ থেকে ফুলের তোড়া নিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তাদের সমর্থন ছাড়া তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত হতে পারতেন না। মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে আবেগাপ্লাত টিউলিপ বলেন, ‘আপনারা অনেক করেছেন। আপনাদের সমর্থন, স্নেহ ও ভালবাসা ছাড়া আমি এ অবস্থানে আসতে পারতাম না।’ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেবার পার্টির এই এমপি বলেন, তিনি ৭ মে’র নির্বাচনে ১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তার এই নির্বাচনী আসনে বাঙালী ভোটার রয়েছেন ১ হাজার। নির্বাচনে বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত অপর দুই পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী ও ড. রুপা হকের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, তিনি গর্বিত যে, যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে তিনজন বাঙালী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং এ সময় তিনি প্রথম সিলেট ও পরে ঢাকা যাবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ফুলের তোড়া ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী হস্তান্তরকালে তাঁর ভাগ্নি টিউলিপকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দেন। অন্যান্য ব্রিটিশ এমপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা ব্রিটিশ অর্থনীতির পাশাপাশি রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাপক অবদানেরও প্রশংসা করেন। ব্রিটিশ হাউস অব কমান্সের সদস্যরা ‘জয় বাংলা’ বলে অনুষ্ঠানে তাদের বক্তৃতা শেষ করেন। অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ প্রত্যেক খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৬ বছরে দেশ এভাবে এগিয়ে যাবে এটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও উন্নয়নের মতো প্রত্যেক খাতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করতে হবে। হাউস অব কমন্স প্রধানমন্ত্রী ॥ বাংলানিউজ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় হাউস অব কমন্সে যান। সেখানে স্পীকার তাঁকে স্বাগত জানান। পার্লামেন্টের বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়। অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ার সরকারদলীয় এমপি আন মেইন এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
×