ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফের ভারতের সমালোচনা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না ॥

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১৫ জুন ২০১৫

ফের ভারতের সমালোচনা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না ॥

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও ভারতের সমালোচনা করলেন বেগম জিয়া। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না। সে বন্ধুত্ব আমরা চাই না। সমমর্যাদার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ককে বলে বন্ধুত্ব। অন্যথায় সেটা হয়ে যায় দাসত্ব। রবিবার রাতে নিজের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা শাখার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া বলেন, এই যে আপনারা যমুনা ব্রিজের (বঙ্গবন্ধু সেতু) ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করেন, এর জন্য আপনাদের টোল দিতে হয়। কিন্তু কারও সঙ্গে যদি আমাদের এমন চুক্তি হয় যে, তারা আমাদের রাস্তা-ব্রিজ ব্যবহার করবে, কিন্তু কিছু দেবে নাÑ সেটা কি আমরা মেনে নেব? কারও ভারি গাড়ি-যানবাহন আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চললে রাস্তাঘাট কি থাকবে? সুতরাং দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কারও সঙ্গে আমরা বন্ধুত্ব চাই না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিএনপিপ্রধান বলেন, একটি পরিবার সারাজীবন সবরকম সুযোগ-সুবিধা পাবে, আর অন্যরা কিছুই পাবে না, তা হয় না। এদের এই ব্যবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ অবস্থা চলতে পারে না। এ জন্য অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এ দল যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এই বিদ্যুত কেন্দ্র যদি হয়, আমাদের সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দলীয় এবং নিজেদের লোকজনের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওখানেই তারা বিদ্যুত কেন্দ্র করতে যাচ্ছে। আর এই বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ কারা করছে, তা তো আপনারা জানেনই। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপিপ্রধান বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দলের জন্য নিবেদিত, আগামীতে দলে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে না বা করেনি কখনও, তারাই আসবে নেতৃত্বে। মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
×