অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং দেশের সব জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) আধা সরকারী পত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
সম্প্রতি পাঠানো ওই ডিও লেটারে ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং দেশের সব জেলার ডিসি ও এসপিকে সরকারীভাবে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের বিপরীতে নিয়মমাফিক নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর ও ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) কাটার আহ্বান জানান তিনি। মূলত সিটি কর্পোরেশন পণ্য ও সেবা ক্রয়, পরামর্শক ফি পরিশোধ, বেতন ভাতা পরিশোধের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করে থাকে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স নবায়নসহ আরও কিছু সেবার বিপরীতে অর্থ আদায় করে থাকে। এসব ব্যয়, অর্থ আদায়ের সময় নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর ও ভ্যাট আদায়ের নিয়ম রয়েছে।
নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় দুই মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিও লেটারে এনবিআর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, ‘সরকারের মোট রাজস্ব আদায়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আহরিত হয়। এর প্রায় সিংহভাগ (৫০ শতাংশ) আয়কর এবং মূসক বা ভ্যাট খাত হতে উৎসে আদায় করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আদায়ের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং আয়কর আদায়ের প্রায় ৫৪ শতাংশ উৎসে আদায় করা হয়। আপনাদের সকলের সহায়তায় উৎসে কর কর্তন যথাযথভাবে মনিটরিং করা হলে এ হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ডিও লেটারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, উৎসে কর ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের সময় উৎসে কর কাটছে না। ক্ষেত্র বিশেষে কর্তৃপক্ষের অজ্ঞতার কারণে বিধি মোতাবেক নির্দিষ্টহারের তুলনায় কম কর কাটছেন। অনেক ক্ষেত্রে কর কাটলেও সময়মতো সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না। আবার উৎসে কর কাটলেও করবিধি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না।
সরকারী ব্যয় ও সেবার বিপরীতে আয়ের ওপর নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করে সময়মতো সরকারী কোষাগারে জমা দিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্দেশনা দিতে মেয়রদের ডিও লেটারে অনুরোধ জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: